ঘর-দোরহীন অভাবী-গরীব মানুষজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে হাজার হাজার ঘর তৈরি করে উপহার দিয়েছেন। এমন খবর পেয়ে যান দূর পাহাড়ের বাসিন্দা প্রিয়রঞ্জন চাকমা। তিনি বয়োবৃদ্ধ এবং প্রতিবন্ধী। মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকু নেই। তার মনে আকুলি-বিকুলি জীবনের শেষবেলায় এসে নিজের পরিবারের জন্য একটা আশ্রয়, ঠিকানা কী হবে?
ভাগ্য বদৌলতে অসহায় প্রতিবদ্ধী চাকমা বৃদ্ধের ইচ্ছে পূরণ হলো। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে তৈরি নতুন ঘরের চাবি তিনি পেলেন ৩ এপ্রিল শনিবার। মনোবাসনা পূর্ণ হওয়ায় এখন অভিভূত চাকমা পরিবারটি। প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞ বলেই জানালেন প্রিয়রঞ্জন চাকমা।
মানবিক সেবা ও সহায়তার হাত বাড়িয়ে প্রতিবন্ধী অসহায় বৃদ্ধের পাশে দাঁড়ালো সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি সদর জোন। পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার উল্টাছড়ি ইউনিয়নের কুঞ্জরামপাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী প্রিয়রঞ্জন চাকমা। গত ৯ মার্চ স্থানীয় সংবাদপত্রের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিবন্ধী প্রিয়রঞ্জন চাকমা তার পারিবার নিয়ে বসবাসের জন্য একটি ঘরের আবেদন তুলে ধরেন। বিষয়টি জানার সাথে সাথেই সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি সদর জোন প্রতিবন্ধী বৃদ্ধের ঘর নির্মাণের দায়িত্ব গ্রহণ করে।
গত ১৩ মার্চ সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ঘর নির্মাণকাজ শুরু এবং ১ এপ্রিল শেষ হয়। অবশেষে ৩ এপ্রিল দিনটি প্রিয়রঞ্জন চাকমা ও তার পারিবারের জন্য চিরস্মরণীয় হয়েই থাকবে। তার কাছে নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মো. জাহিদুল ইসলাম।
এ বিষয়ে লে. কর্নেল মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, মানুষের মৌলিক পাঁচটি অধিকারের অন্যতম হলো বাসস্থান। বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী প্রিয়রঞ্জন চাকমা ও তার পরিবারের জন্য এটি সেনাবাহিনীর বহুমুখী মানবিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাগুলোর অন্যতম নজির। শান্তি, স¤প্রীতি এবং উন্নয়ন-এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন যাবৎ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছে।
পাহাড়ে বসবাসরত জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক স¤প্রীতি রক্ষায় সেনাবাহিনীর উদ্যোগ চলমান থাকবে। তিনি জানান, পার্বত্য অঞ্চলের জনগণের জানমাল রক্ষা ও যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করছে। এর পাশাপাশি শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সবক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন