মৌসুমে তৃতীয়বারের মত মৃদুমন্দ ছন্দে বৃষ্টি হল বগুড়াসহ উত্তরের বিভিন্ন অঞ্চলে। গত বৃহস্পতিবার মাঝরাতে ৩৫ কি. মি. গতিতে ঝড়ের সাথে বৃষ্টি শুরু হলে আশান্বিত হয়ে ওঠে বোরো চাষিরা।
অনেকেই ঝড়, শিলাবর্ষণ বা লু-হাওয়ার বদলে যেন রহমতের বৃষ্টি হয় সেই প্রার্থনা করতে থাকেন। বোরো চাষিদের মতে এই মুহুর্তে সেচের পানির বদলে বৃষ্টিতে ধান পোক্ত, পুষ্ট হয়ে দ্রæত পেকে উঠতে কার্যকর ভ‚মিকা পালন করে।
বগুড়া আবহাওয়া অফিস জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়ায় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে। এ নিয়ে চলতি খরা মৌসুমে বগুড়া অঞ্চলে ৩ দফায় মাত্র ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হল। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি এপ্রিলের মধ্যেই আরও ২/১ দফা মাঝারি বৃষ্টিপাত হলে পরিবেশ কিছুটা ঠান্ডা হবে। কমে আসবে লু-হাওয়া প্রবাহের শক, সম্ভাবনা তৈরি হবে আরেকটি বাম্পার ফলনের। কৃষি পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে ইতোমধ্যেই ৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। বোরো জমির এক তৃতীয়াংশই রয়েছে উত্তরের ৪টি অঞ্চলে।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে এবার বগুড়া, জয়গুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জকে নিয়ে গঠিত বগুড়া কৃষি অঞ্চলে ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর। নওগাঁ, নাটোর, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ কে নিয়ে রাজশাহী অঞ্চলে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৮৭৫ হেক্টর। রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটকে নিয়ে রংপুর কৃষি অঞ্চলে ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৫৬০ হেক্টর। দিনাজপুর, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়কে নিয়ে দিনাজপুর কৃষি অঞ্চলে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৯০৫ হেক্টরে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। কৃষি বিভাগের আশা বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে এবার রাজশাহী অঞ্চলে ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৯ মেট্রিক টন, বগুড়া অঞ্চলে ১৯ লাখ ৬৮ হাজার ৪৬৩ মেট্রিক টন, রংপুর অঞ্চলে ২১ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০ মেট্রিক টন এবং দিনাজপুরে ১১ লাখ ২৫ হাজার ২৯১ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন