আল আমিন মন্ডল, গাবতলী (বগুড়া) থেকে
বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় শেষ মুহূর্তে বোরো ধান ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক। এখন দিনরাতে মাঠে ধান ক্ষেতে পানি, সার, কীটনাশক ও শেষ পর্যায়ে নিড়ানী দিতে তারা ব্যস্ত সময় কাঠাচ্ছেন। সূত্র জানায়, এ মৌসুমে উপজেলাতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উপসী জাতের ১৪ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে ও হাইব্রীড জাতের ৩ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ইতিমধ্যে অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা হয়েছে ১৮ হাজার ১ ৫০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের চেয়ে ১৫০ হেক্টর বেশি জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। গাবতলী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশা করছেন এবছরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়াও গাবতলী ইছামতি নদীতে জেগে উঠা জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। তবে দিনমজুর সংকট থাকলেও শেষ সময়ে তীব্র রোদে কৃষকরা পুরোদমে ধানের চারাগাছসহ আগাছা পরিষ্কার করছে। রামেশ্বরপুর আকন্দপাড়া গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, ধান গাছে সময়মত পানি পাওয়ায় এখন ধানগাছ সবুজবর্ণ ধারণ করেছে। চারিদিকে যেন সবুজের সমারোহ। যেদিকে তাকাই দৃষ্টি যেন জুড়িয়ে যায়। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহেদুর রহমান জাহিদ, জাহাঙ্গীর আলম ও ডিএস তনশ্রী জানান, সারের সংকট নেই। ফলে এবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে কৃষক বোরো ধান চাষ করেছে। গাবতলী উপজেলা কৃষি অফিসার আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার জানান, ধান চাষে লাভ বেশি। তবে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাগণ ধান গাছের রোগবালাই দমনে কৃষকদের তথ্য ও পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করছি আগামীদিনে বোরো ধান চাষ ও উৎপাদন আরো বাড়বে। এছাড়াও কৃষক ধানের বাম্পার ফলনের জন্য ক্ষতিকারক পোকা নিধনে আলোক ফাঁদ ও পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নাজমুল হক মন্ডল জানান, এবছরে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ মাঠে কৃষকদের নিয়ে কাজ করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন