হেফাজত ইসলামের আমির শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম আদালতে দেওয়া এ প্রতিবেদনে হেফাজত আমির আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরীসহ ৪৩ জনকে দায়ী করা হয়েছে বলে পিবিআইয়ের প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার জানিয়েছেন। তিনি জানান, আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার সুপার নাজমুল হাসান বলেন, এ মামলার তদন্তে অন্তত ২২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আল্লামা শফীর মৃত্যুর পাশাপাশি মাদরাসায় ভাঙচুরসহ বিভিন্ন বিষয় তদন্তে উঠে এসেছে। মোট ৪৩ জনকে অভিযুক্ত করে দন্ডবিধির ৩০৪ ধারায় প্রতিবেদনটি দেওয়া হয়েছে। পিবিআই সূত্র জানায়, প্রতিবেদনে জুনাইদ বাবুনগরী ছাড়াও হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস, সহকারী মহাসচিব হাবিব উল্লাহ, হেফাজত নেতা নাছির উদ্দিন মুনির, আহসান উল্লাহ, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, আবদুল মতিন, শহীদুল্লাহ, রিজুয়ান আরমান, জাফর আহমদ, এনামুল হাসান ফারুকী, আনোয়ার শাহ, শফিউল আলমসহ ৪৩ জন রয়েছেন।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির ১০৩ বছর বয়সী আহমদ শফী। মৃত্যুর দুইদিন আগে মাদরাসায় ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভের মধ্যে শূরা কমিটির বৈঠকে আল্লামা শফী মহাপরিচালকের পদ ছাড়েন। তাকে মাদরাসার পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয়। একইসাথে শূরা কমিটির সভায় তার ছেলে মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা আনাস মাদানিকেও বহিষ্কার করা হয়।
তার ইন্তেকালের কয়েক মাস পর হেফাজতের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের মধ্যে গত ১৭ ডিসেম্বর আল্লামা শফীর শ্যালক মো. মইন উদ্দিন চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করেন। এতে অভিযোগ করা হয়, আহমদ শফীকে ‘মানসিক নির্যাতন করে’ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। যেখানে ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই’কে তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেয়। কয়েক দফা সময় নিয়ে পিবিআই গতকাল আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন