রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের দুস্থ ভিজিডি ভোগীরা গত ৩ মাস ধরে চাল পাচ্ছেন না। এতে করে চলমান লকডাউন ও করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পরিবারগুলো খুবই মানবেতর দিনাদিপাত করছে। এছাড়া লকডাউনে আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়াতে অনেক পরিবারের রোজার সাহরি-ইফতারিতে তেমন কিছু জুটছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডলকে হত্যার উদ্দেশ্যে গত ১৯ মার্চ রাতে সশস্ত্র হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। মারাত্মক জখম অবস্থায় বেশ কিছুদিন ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার পর প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল গনি মন্ডল কিছুদিন পরিষদের কাজকর্ম চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু গত ২৯ মার্চ রাতে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে। গত ১ এপ্রিল সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনা দুটোকে কেন্দ্র করে পুরো দৌলতদিয়া ইউনিয়নে উত্তাল অবস্থা বিরাজ করছে। এতে স্বাভাবিক কাজকর্ম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে, এ অবস্থার মধ্যে উপজেলার সবগুলো ইউনিয়নের অনুক‚লে সরকারিভাবে ভিজিডির উপকার ভোগীদের জন্য (জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ) ৩ মাসের চালের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দৌলতদিয়া ইউনিয়নে মোট ৭৪৯ কার্ডধারীর জন্য প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চালের বরাদ্দ দেয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী বরাদ্দকৃত চাল চেয়ারম্যান অথবা প্যানেল চেয়ারম্যানের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু তাদের দুজনের অনুপস্থিতিতে এখানকার চাল খাদ্য গুদাম হতে উত্তোলন করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে ইউনিয়নের ২য় প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. জামাল মোল্লা জানান, এই সময়ে সাধারণ মানুষ খুব কষ্টে আছে। ভিজিডির চালগুলো দ্রুত দিতে পারলে ওই পরিবারগুলো একটু শান্তি পেত। আমরা পরিষদের সকল সদস্য মিলে এ বিষয়টি নিয়ে ইউএনওর সাথে কথা বলবো। গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, দৌলতদিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে কিভাবে চাল দেয়া যায় সে ব্যাপারে আমি খতিয়ে দেখবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন