জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোকে দেয়া আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতিতে ধনী দেশগুলো এখন দুঃখজনক নীরবতা পালন করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত ৪০টি দেশের অংশগ্রহণে ভার্চুয়াল জলবায়ু সম্মেলনে দরিদ্র দেশগুলোকে জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় কোনো নতুন তহবিল দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয় নি। -দ্য গার্ডিয়ান
সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান ও দক্ষিণ আফ্রিকা নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাইডেন ২০২৪ সাল নাগাদ দেশটির জলবায়ু বাজেট সাড়ে ৫ বিলিয়নের বেশিতে উত্তীর্ণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে অন্য প্রধান অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলো তহবিলের বিষয়ে নীরব ছিলো। এর ফলে করোনা মহামারীর এই সময়ে এমনিতেই অর্থনৈতিকভাবে ঋণগ্রস্ত হওয়া দরিদ্র দেশগুলো জলবায়ুর পরিবর্তন জনিত বিরুপ আবহাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতির আরো ঝুঁকিতে পড়বে।
দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, তারা বিদেশে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে তহবিল বন্ধ করবে। ব্রিটেন নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও নতুন কোনো প্রতিশ্রুতি দেয় নি। ২০০৯ সালে ধনী দেশগুলো বলেছিলো , ২০২০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু তহবিল নাগাদ বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার করে সহায়তা দেয়া হবে। গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত অন্যান্য নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় যে আর্থিক তহবিল প্রয়োজন তা দরিদ্র দেশগুলোর নেই। জলবায়ু মোকাবেলার তহবিল ব্যতীত দরিদ্র দেশগুলো ভবিষ্যতে খাদ্য ও পানি সংকটসহ চরম আবহাওয়ার বিপর্যয়কর প্রভাবের মুখে পড়বে এবং জলবায়ু শরণার্থীর সৃষ্টি হবে বলে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন