জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবেলা বর্তমানে সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি অনস্বীকার্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজ্ঞানীরা বৈশ্বিক জলবায়ুর এ পরিবর্তনের মূল কারণ হিসেবে মানবজাতির অনিয়ন্ত্রিত উন্নয়ন কর্মকান্ডকে চিহ্নিত করেছেন। প্রাক-শিল্পবিপ্লব পর্যায় থেকে ইতোমধ্যেই পৃথিবীর গড় উষ্ণতা ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সে. বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সি.পি.আর.ডি.) মো. শামছুদ্দোহা।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক নাগরিক মানব বন্ধনে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন সিপিআরডি’র নির্বাহী প্রধান মো. শামছুদ্দোহা। মানববন্ধনের আয়োজন করে সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি), শরীয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এসডিএস), কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (সিডিপি), কোস্ট ফাউন্ডেশন, ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা), কোস্টাল লাইভলিহুড এন্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (ক্লিন) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এক্সটার্নাল ডেট (বিডব্লিউজিইডি)। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাউসার রহমান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক মীহির বিশ্বাস, উন্নয়নধারা ট্রাষ্টের নির্বাহী প্রধান আমিনুর রাসূল, সিনিয়র সাংবাদিক নীখিল চন্দ্র ভদ্র, সিপিআরডি সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. আকিব জাবেদ এবং নাগরিক সমাজের বিভিন্ন প্রতিনিধিরা। মানব বন্ধনটি সঞ্চালনা করেন সিপিআরডি’র রিসার্চ এন্ড এডভোক্যাসি অ্যাসিস্ট্যান্ট আল ইমরান। এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া জলবায়ু সমঝোতা সম্মেলনগুলো থেকে গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের বিষয়ে মো. শামছুদ্দোহা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় কয়লাসহ অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন, এগুলোতে বিনিয়োগ, এবং এদের ব্যবহার বন্ধে সুস্পষ্ট ও দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে। এছাড়া ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিতকরণের জন্য ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন ভারসাম্য পূর্ণ পৃথিবী গড়ার তাগিদ দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন