জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির দ্বিতীয় সংসারও ভাঙতে বসেছে। তিনি তার বর্তমান স্বামী নাজিমুজ্জামান জায়েদের থেকে আলাদা থাকছেন। তবে তাদের এখনো ডিভোর্স হয়নি। রবিবার সন্ধ্যার পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এই কথা ন্যান্সিই জানান।
ফেসবুকে ন্যান্সি লিখেন, আমি এবং জায়েদ দীর্ঘদিন ধরেই আলাদা থাকছি। তবে মাঝে মধ্যেই আমাদের দেখা অথবা ফোনালাপ হয়। আমার এবং জায়েদের একমাত্র কন্যা সন্তান নায়লা তার বাবার সাথেই থাকে। নায়লাকে নিজের কাছে রাখবার সিদ্ধান্ত এককভাবে জায়েদের। যেহেতু স্বামী স্ত্রীর বাইরেও আমরা দীর্ঘদিনের বন্ধু কাজেই বোঝাপড়াটা মন্দ নয়। তবে নাটকীয়ভাবে বলব না- আমরা আজীবন বন্ধু থেকে যাব।
ন্যান্সি আরও লিখেন, কিছু বৈরি সম্পর্ক তৈরি না হলে নিশ্চই আলাদা থাকতাম না! কে সঠিক, কে বেঠিক এ নিয়ে ফিস ফিস করবার কিছুই নেই। আমাকে অথবা জায়েদকে সরাসরি জিজ্ঞেস করলেই হয়! আর হ্যাঁ, আমাদের এখনো বিচ্ছেদ হয়নি। হলে নিশ্চয়ই সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে। তারপর নতুন জীবনে কী করবো সেটা আপাতত আমি নিজেই ভাবছি না, দয়া করে আপনারাও মানসিক চাপ নেবেন না।
তিনি লিখেন, ‘আপনারাও ভালো থাকুন, আমাদেরও ভালো থাকতে দিন। জীবন থেমে থাকে না, নিশ্চিত নতুন করে পথ চলা শুরু করবো। তবে এটাও নিশ্চিত- আমার নতুন পথচলায় কাছের মানুষরাই আমন্ত্রিত হবেন। বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণ রূপে নিষেধ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৪ মার্চ নাজিমুজ্জামান জায়েদকে বিয়ে করেন ন্যান্সি। তাদের সংসারে নায়লা নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ন্যান্সির স্বামী জায়েদ ময়মনসিংহ পৌরসভায় চাকরি করছেন এবং ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। তবে গায়িকা গত দুই মাস ধরে তার বর্তমান স্বামীর থেকে আলাদা থাকছেন।
এর আগে ২০০৬ সালে ব্যবসায়ী আবু সাঈদ সৌরভকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ন্যান্সি। আনুষ্ঠানিকভাবে সেই সংসার ভাঙে ২০১২ সালের ২৪ মে। সেই সংসারেও ন্যান্সির একটি কন্যাসন্তান রয়েছে, নাম রোদেলা। গত ১৬ এপ্রিল ছিল রোদেলার জন্মদিন। এদিন তার সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান ন্যান্সি।
এই গায়িকার সংগীত জীবন শুরু হয়েছিল ২০০৬ সালে ‘হৃদয়ের কথা’ চলচ্চিত্রের গান গেয়ে। এরপর ২০০৯ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘ভালোবাসা অধরা’ প্রকাশিত হয়। ২০১১ সালে ‘প্রজাপতি’ চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি প্রথমবারের মত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছেন ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা সাত বার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন