নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান বিশ্ব মহামারী করোনার সময়ে তিনি সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং মানসিকভাবে সজীব রেখেছেন। এই ধরণের অনুপ্রেরণাদায়ক নেতৃত্ব আমরা পৃথিবীতে দ্বিতীয়জন পায়নি।
শুক্রবার দিনাজপুরের বিরল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কোভিড সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিক সাগরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়ের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত রহমান।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু মানুষ সরকারের সমালোচনা করছে। গণমাধ্যমের সামনে যা ইচ্ছে বলছে। তাদের কোন দায়িত্ব নাই। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়া। তাদের কাজ হচ্ছে মানুষকে আতঙ্কিত করা। একটি রাজনৈতিক দলের মানুষের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণকে সাহসী করে তোলা। যেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই করোনাকালে করতেছেন। আর অন্যরা মানুষকে আতঙ্কিত করতেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আতঙ্কিত করার জন্য তারা এমন পন্থা অবলম্বন করেছেন বেগম খালেদা জিয়াকে পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। মানুষ যেন আতঙ্কিত হয়ে যায়। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়মিত অপপ্রচার ছড়াচ্ছেন। বিএনপি মহাসচিব বলছেন লকডাউনের ক্র্যাকডাউন হয়ে গেছে। আমিতা বলবো বিএনপিই ক্র্যাকডাউন হয়ে গেছে খালেদা জিয়া হাসপাতালে যাওয়ার মাধ্যমে।
তিনি বলেন, আপনারা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে এতই অপকর্ম করেছেন যে, যতই স্যালাইন ও ওষুধ দেন না কেন এই বিএনপিকে আর জীবিত ও সুস্থ করে তোলা সম্ভব নয়। বাংলার মানুষ আপনাদের কাছে কোন ভরসা পায় না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন তথাকথিত কিছু উগ্র নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে তারা ইসলামের নাম করে কখনো হেফাজতের উপর ভর করতেছে। কখনো নিজেরাই আত্মহুতি দেয়ার জন্য প্রত্যয় ঘোষণা করতেছে। কিন্তু বাংলার মানুষ তাদের উপর কোন ভরসা খুঁজে পায় না। তারা ভরসা পায় শেখ হাসিনার প্রতি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনা দ্বিতীয় ঢেউ ইতিমধ্যে আমাদের নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে। তিনি ভারতের জনগণের জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী করোনা সুরক্ষা সামগ্রী প্রেরণ করেছেন। নেপালে যখন ভূমিকম্প হয়েছিলো তখনও সাহায্য করেছিলো, দিনাজপুরের চাল সেখানে পাঠানো হয়েছিলো। শ্রীলংকায় সাহায্য করেছি। রোহিঙ্গাদের দুই/তিনবছর ধরে আমরা তাদের মনবতার সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা অনেক সৌভাগ্যবান যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন নেতা পেয়েছি। এমন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রাষ্ট্র কিংবা সরকার প্রধান বর্তমান পৃথিবীতে বিরল। এই মুহূর্তে তাঁর চেয়েও বেশি সময় দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা পৃথিবীর কোন নারী নেত্রীর নাই। তিনি ইন্দিরা গান্ধী ও মার্গারেট থেচারকে ছাড়িয়ে গেছেন।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসাবে বিগত ৩৮ বছর শেখ হাসিনার অনেক সাহস ও বিচক্ষণতার পরিচয় আমরা দেখেছি। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব মহামারী করোনার সময়ে তিনি সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং মানসিকভাবে সজীব রেখেছেন। এই ধরণের অনুপ্রেরণাদায়ক নেতৃত্ব আমরা পৃথিবীতে দ্বিতীয়জন পায়নি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনার প্রথম ঢেউ মোকাবেলা করেছি। এখন যখন দ্বিতীয় ঢেউ আসলো সেটাও যথাযথভাবে মোকাবেলা করা হবে।
তিনি বলেন, সরকার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বিভিন্ন কার্যক্রম করছে। লকডাউন ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছিলো, তা ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এখন করোনা সনাক্তের হার কমে গেছে, মৃত্যুর ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিলো প্রতিদিন। সেটা কমে আসছে। এখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অবস্থা আরও স্বাভাবিক হয়ে আসবে। একসময়ে দেশে আইসিইউয়ের সংকট ছিলো কিন্তু এখন ঢাকা ও চট্টগ্রামে আইসিইউ ফাঁকা রয়েছে। সরকারের যথাযথ ব্যবস্থার কারণে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
এর আগে তিনি বিরল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন