বিএনপি প্রতি বাংলাদেশের মানুষের আর ভরসা নাই বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বিএনপির উপর বাংলাদেশের মানুষ আর ভরসা করে না। এই দুর্নীতিবাজদের কাছে মানুষ আর প্রত্যাশা করে না। তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে যে পরিমাণ লুটপাট, মানুষ হত্যা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছেন। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এই পাচারের টাকায় তারেক রহমান লন্ডনে বিলাসবহুল জীবন-যাপন করছেন। যেভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন করেছিলেন। তাই বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের উপর আর ভরসা পায় না। আর কোন জায়গা নাই। দেশের মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার দিনাজপুরের বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারে জেলা আওয়ামী লীগের করোনা সংক্রান্ত ত্রাণ কমিটির উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন। করোনা সংক্রমণের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ে নাই। বাংলাদেশের রিজার্ভ হচ্ছে ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। করোনার মধ্যে আমাদের মর্যাদার পদ্মাসেতু বাংলাদেশকে যুক্ত করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়কে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। আগে বিদেশীদের টাকায় উন্নয়ন হতো। এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিজেদের টাকায় দেশের উন্নয়ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, আপনারা শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। তিনি যতদিন সুস্থ ও জীবিত থাকবেন, ততদিন বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে জ্বল জ্বল করে আলো জ্বলবে। তার নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানুষের কঠিন সময়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলো। আওয়ামী লীগে, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, যুবলীগ, মহিলা যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কৃষকের জমির ধান কেটে তার গোলায় তুলে দিয়ে এসেছিলো। সেটা ছিলো শেখ হাসিনার নির্দেশনা।
তিনি বলেন, মানুষ যখন করোনা সংকটে হাসপাতালে হাসপাতালে ছুটতেছিলো তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের সহযোগিতা করেছিলো। জামায়ত-বিএনপি হেফাজতের নামে বাংলার মানুষকে আক্রমণ করেছিলো। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও চট্টগ্রামে মানুষ মেরেছে। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে দেশে তান্ডব চালিয়েছিলো। সারা দুনিয়ায় আমরা যে সম্মান ও মর্যাদায় গিয়েছে, সেই সম্মানহানি করার জন্য তারা চেষ্টা চালিয়েছিলো।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে তারা বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। এই গণহত্যায় নেতৃত্ব দিয়েছে কুলাঙ্গার তারেক, বেগম খালেদা জিয়া ও মির্জা ফখরুল। তারা এই গণহত্যার মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশকে জানিয়ে দিয়েছে ৭১ সালের রাজাকার, আলবদর, আল শামসরা যে হত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাট করেছিলো তারাই পুনরাবৃত্তি করেছিলো এই ২৬ মার্চ। ধ্বংস, অত্যাচার, হত্যা ও ধর্ষণের রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে মানবতার। বিগত ৩ বছর ধরে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে প্রধানমন্ত্রী মায়ের স্নেহ দিয়ে লালন-পালন করছেন। এই করোনাকালীন সময়ে বাংলার মানুষ যাতে দুর্ভোগে না পড়ে এই খাদ্য সহায়তা ও দুস্থদের মাঝে সরকারী সহায়তা দিয়েছেন। আগামীকাল ভার্চুয়াল মাধ্যমে আড়াইহাজার করে টাকা দুস্থদের মাঝে বিতরণ করবেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জন্য ১০কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। যে সাংবাদিকরা বাংলাদেশের মান-মর্যাদা ও সম্মান সমগ্র পৃথিবীর কাছে তুলে ধরে। তারা বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে। সেই সাথে সাথে শ্রমিকরা যাতে কষ্ট না পায় সেই জন্য তিনি তাদের জন্য সাহায্য করেছেন। কর্মহীন শ্রমিকদের ভাতা সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফুজ্জামান মিতা, বজলুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রফিকুল ইসলাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক কামরুল হুদা হেলাল, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তৈয়বুদ্দিন চৌধুরী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক সেলিম আক্তার চৌধুরী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ করিম, দিনাজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
এর আগে তিনি জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মতবিনিময় সভা যোগ দেন। পরে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন। সেখানে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন