সিলেটের বিশ্বনাথে চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্র সুমেল হত্যা মামলার আসামী সাইফুলের আপন ভাতিজা টেরা পারভেজকে আটক করেছে ব্যাটেলিয়ন র্যাব-৯। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নবীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সামিউল আলম। এদিকে সাইফুলকে আটক করতে র্যাব এবং সিলেট জেলা পুলিশের কয়েকটি ইউনিট অভিযানে রয়েছে। যে কোন সময় সাইফুল ও তার ঘনিষ্ঠরা আটক হতে পারে। এদিকে খুনি, অস্ত্রবাজ সাইফুলকে হন্য হয়ে খুঁজছে র্যাব পুলিশ। যে কোন সময় গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘটনার পর পরই পুলিশ ৪জনকে আটক করেছে এবং পরদিন আনোয়ার হোসেন নামের আরো ১জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, আশিক উদ্দিন, আব্দুন নূর, জয়নাল ও ইলিয়াছ আলী। এনিয়ে মোট গ্রেফতার-৫জন।
প্রসঙ্গ, ১ মে শনিবার বিকেল ৩টার দিকে চাউলধনী হাওরের লীজ গ্রহীতা বাহিনীর প্রধান সাইফুল ও তার বাহিনী নিয়ে চৈতননগর এলাকায় কৃষকদের মালিকানা জমি থেকে মাটি কাটতে গেলে কৃষকরা বাঁধা দেন। এতে সাইফুল আলম উত্তেজিত হয়ে সাথে থাকা একটি বন্দুক ও পিস্তল দিয়ে উপর্যপুরী গুলি করে। এতে স্কুল ছাত্র সুমেল, তার পিতা মানিক মিয়া, চাচা প্রবাসী মনির মিয়া ও চাচাতো ভাই সালেহ আহমদ গুরুত্বর গুলিবিদ্ধ হয়। এতে সুমেলের মাথা, চক্ষু ও বুকে ৫/৬টি গুলি লাগে। তার পিতার মাথায় গুলি থাকাবস্থায় তিনি সুমেলকে কুলে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। বাকি গুলিবিদ্ধদেরকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে, সুমেলের পিতার অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মূসা ইনকিলাবকে জানান, এ হত্যা মামলায় মোট ৫জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামি গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন