হেফাজতে ইসলামের সদ্যবিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক, জমিয়তের উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরীর সম্পদের হিসাব তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শাহীনূর পাশা ছাড়াও হেফাজতের কেন্দ্রীয় আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী সহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের ৪৬ জন নেতাকর্মীর ব্যাংক হিসাব ও সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। সোমবার দুদকের পরিচালক মো. আকতার হোসেন এ সংক্রান্ত চিঠি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছেন। চিঠিতে হেফাজত নেতাদের পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমির দাগ, খতিয়ান সহ নথিও চাওয়া হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, হেফাজত নেতাদের সম্পদের অনুসন্ধানের জন্য ১৭ মে দুদক পরিচালক মো. আকতার হোসেনকে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ নুরুল হুদা, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ ও মো. সাইদুজ্জামান, উপসহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান। এবিষয়ে অনুসন্ধান কমিটির সদস্য ও দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, অনুসন্ধান দল তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করবে। তারপর যেসব অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে আসবে, সেগুলোর তদন্ত হবে। যত দ্রুত সম্ভব, তদন্ত শেষ করা হবে। এর আগে গত ৬ মে দিবাগত রাত ১২টার দিকে হেফাজতে ইসলাম নেতা মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরীকে সিলেট নগরীর বনকলাপাড়াস্থ নিজ বাসার পাশ থেকে গ্রেপ্তার করেছিল গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলের শেষ দিকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের মৃত্যুর পর জোটের প্রার্থী হিসেবে সুনামগঞ্জ-৩ আসনের উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন শাহীনূর পাশা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন