শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আমে হাটহাজারীর বাজার সয়লাব, প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতা

হাটহাজারী (চট্রগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০২১, ১০:১৫ পিএম

আম খেতে পছন্দ করেনা এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আম পাকতে শুরু করে। অথচ এখনিই বাজারে পাকা আমের ছড়াছড়ি। কিন্তু না এগুলো পাকা আম নয়। অপরিপক্ক আম। অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশী মুনাফার লোভে কার্বাইড দিয়ে পাকিয়ে বিক্রি করছে। পচন ঠেকাতে ব্যবহার করছে ফরমালিন। ক্রেতাদের আকর্ষণীয় করতে মেশানো হচ্ছে কৃত্রিম রং। চড়া দামে কিনে ক্রেতারা একদিকে যেমন প্রতারিত হচ্ছে তেমনি রাসায়নিক দিয়ে কৃত্রিমভাবে পাকানো আমে ক্ষতি হচ্ছে স্বাস্থ্যের।

মধু মাস জ্যৈষ্ঠ আসতেও এখনো প্রায় দু সপ্তাহ বাকী। অথচ সারাদেশের মত হাটহাজারীতেও বিভিন্ন ফলের দোকান বিশেষ করে ভ্রাম্যমান ভ্যান এবং সড়কের পাশে বসা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছে অপরিপক্ক মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর আমের ছড়াছড়ি। ক্ষতিকর কার্বাইড, ফরমালিন আর কৃত্রিম রং দিয়ে আকর্ষণীয় করা পাকা দেখালেও খেতে পাকা আমের সেই স্বাদ নেই। ভেতরে আমের আঁটি কাঁচা। ঘুরে দেখা গেছে, হাটহাজারী বাসস্ট্যন্ড, বাজার, কাচারি সড়ক, কলেজ গেইট, মেডিকেল গেইটসহ সর্বত্র এ আমের ছড়াছড়ি। বিক্রেতারা থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন আম। এন জহুর শফিং সেন্টারের সামনে ভ্রাম্যমান এক ব্যবসায়ীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এগুলো হিমসাগর আম এবং দাম ১শ ৫০ টাকা। আমগুলোর রং এবং দু রংয়ের কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুদিন রাখলে পেকে যাবে।

কাঁচা বাজারে এক ব্যবসায়ী বিক্রি করছেন ১২০ টাকা দামে। তার আম ফজলী আম বলে দাবি করলে এখন রাজশাহী কিংবা সাতক্ষীরা থেকে এ আম আসছে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি শহর থেকে পাইকার থেকে কিনেছি।

কার্বাইড দিয়ে পাকানো আমে গ্যাস্ট্রিক, লিভার, কিডনি এমনকি ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকি আছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু সৈয়দ মোঃ ইমতিয়াজ হোসাইন।শীঘ্রই অভিযানের আশ্বাস উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিনের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন