ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার মসজিদ গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শান্তি পূর্ণভাবে ঈদ-উল-ফিতর”র জামাত সম্পন্ন হয়েছে। নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় এবং করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি সম্প্রতি বৈশ্বিককরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও নিহতদের জন্য দোয়া করা হয়েছে।

ফুলপুর উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে সকাল ৮ টায় ও ৯ টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাতে ইমামতি করেন উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব হাফেজ মাওলানা আতাউল্লাহ। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ ইউনুছ আলী।

ফুলপুর কাজিয়াকান্দা কামিল মাদ্রাসা মসজিদে সকাল ৯ টায় ও ৯.৩০ টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।ফুলপুর কাজিয়াকান্দা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হযরত মাওলানা জয়নুল আবেদীন প্রথম ঈদ জামাতে ইমামতি করেন।
ফুলপুরে ঈদের জামাতগুলোতে জনপ্রতিনিধি, উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যাক্তি ও স্থানীয় মুসল্লী অংশ নিয়েছেন।

দু’রাকাত নামাজ শেষে জামাতের ইমাম শত শত মুসল্লিকে সাথে নিয়ে মহান অাল্লাহর দরবারে মোনাজাতে শামিল হন। মোনাজাতে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা এবং করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে মুক্তি চাওয়া হয়।

এসময় নিজেদের পাপ মোচনে অামিন অামিন ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো মসজিদ। এর অাগে মসজিদ গুলোতে নামাজ আদায়ের জন্য সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা আসতে থাকেন। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ পাঞ্জাবি-পাজামা-টুপি ও মাস্ক পরে জায়নামাজ নিয়ে দলে দলে অাসেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সাথে দুরত্ব বজায় রেখে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এছাড়া ফুলপুর আমুয়াকান্দা বাজার জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ও ৯টায় , গোদারিয়া মাদ্রাসা মসজিদে সকাল সাড়ে ৯টায়, ফুলপুর বাসষ্ট্যান্ড জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়, ছনকান্দা বাজার জামে মসজিদে সকাল ৯ টায়, রাইয়ান জামে মসজিদে সকাল ৮ টা ও ৯ টায়, থানা মসজিদে সকাল সাড়ে ৮ টায়সহ কারাহা বায়তুল আমান জামে মসজিদে, সাহাপুর খান বাড়ি জামে মসজিদে, কাজিবাড়ি জামে মসজিদে, পাগলা, ভাইটকান্দি, রুপসী, খিলা, সিংহেশ্বর, বালিয়া, রহিমগঞ্জ, ছনধরাসহ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ও পৌর এলাকার মসজিদগুলোতে ঈদের জামাত স্বাস্থ্যবিধি মেনে শান্তি পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। ঈদের জামাতে নিরাপত্তা ব্যাবস্থাও ছিল সুন্দর।
ফুরফুরে মেজাজে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করতে পেরে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন।