সিলেটে ধর্মীয় উচ্ছ্বাস ও গাম্ভীর্য পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদুল ফিতরের নামাজ। জামাত শেষে মুসল্লিরা কোলাকুলিতে মেতে উঠেন। দীর্ঘ ২ বছর করোনাবন্দি মানুষ ঈদ জামাত ঈদগায়ে শরীক হতে পেরে এক বাড়তি আনন্দ ছিল ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের মন মেজাজে। ঈদের প্রধান জামাত ঐতিহাসিক সিলেট শাহী ঈদগাহ ময়দানে সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক (বরুণী)। এছাড়া শাহজালাল দরগাহ মাজার মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সাড়ে ৮টায়। নামাজের আগে বয়ান পেশ করেন দরগাহ মাদরাসার শায়খুল হাদিস মুফতি মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী। নামাজে ইমামতি করেন হাফিজ মাওলানা আসজাদ আহমদ।
সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গনে ঈদুল ফিতরের জামাত সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ ইমামতি করেন বন্দরবাজার কালেক্টরেট জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফিজ মাওলানা শাহ আলম। বন্দরবাজার কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে মোট ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথমটি, সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয়টি ও সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয়টি জামাত। অপরদিকে, এছাড়া পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদ, টিলাগড় মাদানী ঈদগাহ, জিন্দাবাজার বায়তুল আমান জামে মসজিদ, রেজিস্টারি মাঠ, সিলেট জর্জ কোর্ট জামে মসজিদ, মদিনা মার্কেট জামে মসজিদসহ নগরীর ৪৪৪টি স্থানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।সকাল ৯টার দিকে হালকা বৃষ্টি শুরু হলে, অনেক স্থানে ঈদের জামাতে বিড়ম্বনায় পড়েন মুসল্লিরা। মহানগর পুলিশ (এসএমপি) সূত্রে জানা যায়, নগরের বিভিন্ন মসজিদে ৩৫৩টি ও ঈদগাহে ৯১টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘ্নে নামাজ পড়তে পারেন সেজন্য আজ সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখে পুলিশ প্রশাসন। ঈদের নামাজ আদায় শেষে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন