সোনাইমুড়ী থেকে নাজমুল হাসান মেজবা নামে (৩০ মাস) বয়সী এক শিশুকে অপহরণ করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে দুই অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো, মো. রাসেল (২৩), উপজেলার ৫নং অম্বরনগর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য অম্বরনগর গ্রামের চৌকিদার বাড়ির জহির চৌধুরীর ছেলে, লক্ষীপুর জেলার বাঞ্চানগর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মাসুদ আদনান (২৪)। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
এর আগে, রোববার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার অম্বরনগর গ্রাম থেকে এই অপহরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, অপহরণের ১০ ঘন্টার মধ্যে অপহৃত শিশুকে লক্ষীপুর সদর থানা এলাকার বাঞ্চানগর গ্রামের বেড়িবাঁধের পাশে থেকে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করে এবং একই সাথে অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশ। গতকাল দুুপর পৌনে ১টার দিকে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো.আলমগীর হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অপহৃত নাজমুল হাসান মেজবা অপহরণকারীর দূর সম্পর্কের আত্মীয়। আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকায় আসামি মাঝে মাঝেই ভিকটিমের বাড়িতে আসা যাওয়া করত। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অপহরণকারী রাসেল সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর গ্রামে অপহৃত শিশুর বাড়ির সামনে এসে ভিকটিমের জেঠাতো ভাই শামিমকে জানায় শিশু মেজবাকে সে অনেকদিন যাবত দেখছেনা। তাকে একনজর দেখার জন্য বাড়িতে থেকে নিয়ে আসার আবদার করে। পরে মেজবাকে এনে তার কোলে দেওয়া হয়। সে শিশুটিকে সামনের দোকান থেকে কিছু কিনে দেওয়ার বাহনা দিয়ে তাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং অপহৃত শিশুর মায়ের মোবাইলে ফোন করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী পরিবার ঘটনাটি সোনাইমুড়ী থানা পুলিশকে অবহিত করে। অভিযোগ পেয়ে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের একটি দল গতকাল ভোর ৫টায় ল²ীপুর সদর থানার পুলিশের সহায়তায় লক্ষীপুর সদর থানা এলাকার বাঞ্চানগর গ্রামের বেড়িবাঁদের পাশে অপহরণকারীর সহযোগী মাসুদ আদনানের (২৪) বসত বাড়ির একটি টুপরী ঘর থেকে শিশুটি উদ্ধার করে এবং দুই অপহরণকারীকে আটক করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন