বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষাঙ্গন

থাইল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা

প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে খুবই পরিচিত একটি নাম থাইল্যান্ড। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এই দেশটি ইতিমধ্যে পর্যটক ছাড়াও জায়গা করে নিয়েছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের মনে। তুলনামূলক কম খরচ ও বাড়তি আয়ের সুবিধার কারণে দিন দিন বাড়ছে থাইল্যান্ডমুখী বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক থাকলে এ দেশের ভিসা পেতে তেমন ঝামেলা পোহাতে হয় না বললেই চলে। দেশটির শিক্ষা ব্যবস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, বৃত্তি, ভিসাসহ শিক্ষাবিষয়ক অনেক তথ্য পাওয়া যাবে এই সাইটে- ংঃঁফুরহঃযধরষধহফ.ড়ৎম।
আবেদনের আগে
থাইল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার সিদ্ধান্তের আগে আপনার শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা কিংবা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত আছে কি না তা নিশ্চিত করুন। ব্যাচেলর প্রোগ্রামের জন্য ১২ বছরের শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্থাৎ এইচএসসি কিংবা এ-লেভেল পাস হতে হবে। ন্যূনতম আইইএলটিএস স্কোর থাকতে হবে ৫.০০। আইইএলটিএস ছাড়াও আবেদন করা যাবে, তবে সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে সে দেশে ইংরেজি ভাষা দক্ষতার ওপর ফাউন্ডেশন কোর্স করতে হবে। ভর্তির আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হয় সব পরীক্ষার একাডেমিক সার্টিফিকেট, মার্কশিট, আবেদন ফি’র রসিদ, আইইএলটিএস স্কোর সার্টিফিকেট, পাসপোর্টের ফটোকপি, মেডিক্যাল রিপোর্ট, ব্যাংক সলভেন্সি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
যেসব বিষয়ে পড়তে পারেন
ডিপ্লোমা, ব্যাচেলর, মাস্টার্স এবং ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে পারেন থাইল্যান্ডে। থাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অ্যাকাউন্টিং, বিবিএ, এমবিএ, ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং অ্যান্ড ই-কমার্স, ট্যুরিজম অ্যান্ড হোটেল ম্যানেজমেন্ট, মেরিন টেকনোলজি, অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স, এগ্রিকালচার সায়েন্স, বায়োটেকনোলজি, আর্কিটেকচার, ফুড টেকনোলজি, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস, মেডিসিন, হেলথ কেয়ার, পাবলিক হেলথ, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংসহ প্রচলিত সব বিষয়েই রয়েছে পড়াশোনার সুযোগ।
ভর্তি তথ্য
থাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি করা হয় জুলাই, ডিসেম্বর, মে- এই তিনটি সেশনে। সেশন শুরু হওয়ার অন্তত তিন মাস আগে থেকেই ভর্তি কার্যক্রম শুরু করাটা ভালো। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েব সাইট থেকে দরকারি তথ্য জেনে আগে থেকেই প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র প্রস্তুত রাখলে পরে বেগ পেতে হবে না।
কেমন খরচ হবে
চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর কোর্স সম্পন্ন করতে বিষয়ভেদে টিউশন ফি বাবদ খরচ হবে মোট ৩,৪০,০০০ থেকে ৪,০০,০০০ থাই বাথ। অন্যদিকে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে খরচ পড়বে মোট ৬০,০০০ থেকে ১,৫০,০০০ থাই বাথ। টিউশন ফি বাদে থাকা-খাওয়া খরচ তো আছেই। ৪,০০০ থাই বাথেই একজন বিদেশি শিক্ষার্থী অনায়াসে কাটাতে পারেন মাস। উল্লেখ্য, প্রতি থাই বাথ ২ দশমিক ১৮ টাকার সমান।
খ-কালীন কাজের সুযোগ
পড়াশোনার পাশাপাশি খ-কালীন কাজের অনেক সুযোগ আছে দেশটিতে। বিদেশি শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ পায়। তবে ছুটির দিনগুলোতে পূর্ণদিবস কাজ করা যায়। ব্যাংকক, পাত্তায়াসহ বড় বড় শহর বিশেষ করে পর্যটন এলাকাগুলোতে কাজের সুযোগ সবচেয়ে বেশি। অভিজাত রেস্টুরেন্টে কাজ করে ঘণ্টায় ১৮ থেকে ২২ থাই বাথ আয় করা যায়। থাই ভাষা জানা থাকলে আরো বেশি আয় করা সম্ভব।
ষ রবিউল কমল

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন