গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দলটির রাজপথে নামা উচিত। খালেদা জিয়া এতদিন জেলে, অথচ বিএনপির কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় সরকার তাদের এলএসডি (এক ধরনের মাদক) খাইয়ে দিয়েছে।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘রাজনৈতিক সংকট: উত্তরণ কোন পথে’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বিএনপি মরহুম জিয়াউর রহমানের জন্য ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। একজন মৃত ব্যক্তির জন্য ১৫ দিনের কর্মসূচি পালন করছে। আর জীবিত খালেদা জিয়ার অবস্থা খুব খারাপ। উনার যেসব লক্ষণ দেখছি, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সময় পাবেন কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আমরা দোয়া করি যেন উনি বেঁচে থাকেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, বিএনপি সত্য কথা বলতেও ভয় পায়। তাদের উচিত ছিল, যেদিন থেকে সরকার তাকে (খালেদা জিয়া) বাইরে যেতে দেয়নি, সেদিন থেকে অনশন করা। সেদিনই বলা উচিত ছিল কাশিমপুরে যেতে চাই, ফিরোজাতে থাকতে চাই না। ফিরোজাতে উনাকে রাখা আরেকটা ধাপ্পাবাজি। উনি কি বধির, কানে শোনেন না? ১৫ দিনের কর্মসূচিতে বিএনপির উচিত মুক্তির জন্য রাস্তায় নামা।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আজকে বিচার বিভাগ সরকার ও আইনমন্ত্রীর অনুগত হয়ে কাজ করছে। এ জন্য অনেকগুলো পরিবর্তন আমাদের দরকার। বিএনপিকে প্রমাণ করতে হবে তারা এলএসডি খায়নি। তা না হলে তারা আত্মহত্যা করছে। এত লোক থাকার পরও তাদের চিন্তার এত দীনতা দেখি।
তিনি বলেন, আমরা হয়তো খালেদা জিয়াকে আর বেশিদিন পাবো না। আমি গত তিন বছর ধরে বলে আসছি- খালেদা জিয়ার চিকিৎসা- মুক্ত, খোলা বাতাসে হাঁটতে দেওয়া। তাহলেই উনি ভালো হবেন। কেবল ওষুধে রোগ ভালো হয় না। ওষুধের সঙ্গে জনগণের ভালোবাসা যখন উনি দেখবেন, উনি তখন সুস্থ হবেন।
বিএনপি নেতাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর পরামর্শ দিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আপনারা এ পর্যন্ত আসার পেছনে জিয়াউর রহমানের চেয়ে খালেদা জিয়ার অবদান বেশি। জিয়াউর রহমান অকালে মারা গেছেন। আপনারা যখন হতাশায় ভুগছিলেন, কোনো পথ ছিল না, এই সাধারণ একজন গৃহবধু আপনাদের একত্রিত করেছেন। আপনাদের দুইবার ক্ষমতায় এনেছেন। তিনি বলেন, বিএনপির লোকেরা খালেদা জিয়ার প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে বলে আমি মনে করি। এ জন্য তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো: সেলিম ভূঁইয়া, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন