২০২১-২২ অর্থ বছরে প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটা বাজেট দিয়েছে। আরে বাবা কী গদগদ সমস্ত বাজেট নিয়ে যে, ব্যবসায়ীদের জন্য এটা খুবই ভালো বাজেট হয়েছে। ৬ কোটি মানুষ এখন দরিদ্র সীমার নিচে। কোথায় তাদের জন্য তো কিছু করেনি। আমরা বার বার করে বলেছিলাম যে, ১৫ হাজার টাকা করে তিন মাসের জন্য এই মানুষগুলোকে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। খুব বেশি কিছু হতো না কিন্তু। কত টাকা লাগতো। কেনো দিলেন না? প্রত্যেকটা দেশ আজকে তারা কিন্তু আগেই এই টাকাগুলোকে পৌঁছেছে, ক্যাশ ট্রান্সফার করেছে। অর্থনীতিকে যদি আপনি সচল করতে চান মানুষের পকেটে টাকা আসতে হবে। তা না করে কাকে টাকা দিচ্ছে? তেলামাথায় তেল দিচ্ছেন। ওই বড় বড় শিল্পপতি, গার্মেন্টস মালিককে দিচ্ছেন, যারা আপনাদের সাথে জড়িত তাদেরকে দিচ্ছেন।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার কোভিড নিয়ে ব্যবসা করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কোভিডকে নিয়ে তারা প্রথম থেকেই ব্যবসা শুরু করেছে। অক্সেফোর্ড এ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা প্রায় ৭শ কোটি দিয়ে তিন কোটি টিকা কিনে এখন দেড় কোটি টিকাও পায়নি। এটা তারা করছে জেনেশুনেই। রাশিয়া ও চীনের টিকার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কিছু জন্তু আছে পানি খায় ঘোলা করে খায়। চীন যখন এসে বললো যে, আমার সাথে চুক্তি করো, তারা করলো না।রাশিয়া এসে বললো যে, আমি দেবো, চুক্তি করো। করলো না। এখন চীন আর রাশিয়ার কাছে গিয়ে ধ্বর্ণা দিচ্ছে। চীন বলছে, মিথ্যা কথা বলেন কেনো? আপনাদের সাথে তো কোনো চুক্তিই হয়নি। এটাকে কী বলবে?
খালেদা জিয়াকে অনুপ্রেরণার উৎস্য হিসেবে অভিহিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের কাছে অনুপ্রেরণা। তিনি সফল হয়েছেন এই দেশ থেকে স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে। এটা সফলতা। সেই জন্যে এই সরকার জানে বেগম জিয়া হচ্ছেন সেই ব্যাবিলনের বংশীবাদক যিনি বাইরে রেরুলে বাঁশি বাজাতে শুরু করবেন লাখ লাখ মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসবে। দ্যাটস দ্য রিয়েলিটি। এজন্য তাকে তারা সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রেখেছে, এখনো তিনি গৃহবন্দি।
দেশের বর্তমান অচলাবস্থা থেকে দেশকে রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই এবং জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে এগুতে হবে। আমরা জাতীয় ঐক্যের জন্য কাজ করছি। সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে একখানে করে, জোট না হোক আমরা যুগপথ আন্দোলন করে বেরিয়ে আসতে পারি কিনা সেই চেষ্টা আমরা করছি।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কোভিড ব্ল্যাসিং ফর শেখ হাসিনা, কোভিড শেখ হাসিনাকে আর্শিবাদ দিচ্ছে। এই কোভিড দেখাইয়া তারা নানা অপকর্ম করছে, জনগণকে হয়রানি করছে। আজকে স্বাস্থ্য বিধির কথা বলে জনগণের আন্দোলন, প্রোগ্রাম-মিটিং-মিছিল সব কিছু বন্ধ রেখেছে তারা। আপনাদের ভাববার কোনো কারণ নেই যে, করোনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে জনগণকে বাঁচানোর জন্য সরকার এই লকডাউন দিচ্ছে, এই বিধিনিষেধ দিচ্ছে। লকডাউন দিচ্ছে, সব কিছু তো চলছে, কোনো কিছু তো বন্ধ নেই, সব কিছু খোলা।
সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।###
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন