শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্ম দর্শন

প্রশ্ন : রূপদানকারী প্রভুর হেরমত কেমন?

| প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০২১, ১২:০২ এএম

উত্তর : প্রতিটি বস্তুর দুইটি রূপ আছে। মানুষেরও তাই। একটা বাহ্যিক অন্যটা ভিতরের। ভিতরের রূপটা আত্মার সাথে সম্পর্কিত। তাই, এটাকে সনাক্ত করা সম্ভব নয়। একমাত্র সাধক ব্যক্তিরা এটা বুঝতে ও দেখতে পান। অন্ধকারের দুইটা রূপ-একটা তার স্বরূপ-কালো, অন্যটা আলো। এ আলো জাগতিক আলো নয়। এ আলো বড় সূক্ষ্ম ও অদৃশ্য। সাধক যিনি আলো প্রাপ্ত তার সংস্পর্শে বহু বছর থেকে সাধনা করলে এ আলো দৃশ্য হয়-অন্তর নয়নে। চর্মচোখ বন্ধ করে আলো প্রাপ্ত সাধকের জ্যোর্তিরময় রূপ খেয়াল করলে এ আলো ধীরে ধীরে অন্ধকার হৃদয়কে আলোকিত করে। তখন অন্ধকারের মধ্যে আলো দেখা দেয়। কালো অন্ধকারের এক রূপ। রাসূল (সাঃ) এর আলো দুই প্রকার। আল্লাহরও তাই। আল্লাহ যিনি পরমাত্মা প্রভু বহু বছর অন্ধকারে ছিলেন-ছিলেন সাধনায়। তারপর বহু বছর পরে অন্ধকার ভেদ করে আলো দেখা দিল। একটা সাদা-অন্যটা সবুজ। এই সবুজ আলো প্রভুর শান্তির প্রতীক যা তিনি দান করেন-হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে। সাদাটা হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কে। তাই- মোহাম্মদ (সাঃ) হলেন প্রভুর ও বিশ্ব শান্তির প্রতীক। তাই, প্রভু উনাকে উপাধি দিলেন “রাহ্মাতুল্লি­ল- আলামিন”।

এক হাদীসে কুদশীতে আছে-আলল্লাহ তখন ছিলেন-তার আরশ আজীমে-পানিতে ভাসমান। (মুসলিম শরীফ) ছিলেন একাকিত্বের অন্ধকারে। এ অন্ধকার থেকে আলোতে আসতেই নূরে মোহাম্মদ সৃষ্টি। তাই; মানব আত্মার জীবনটা অন্ধকার ও আলোর খেলা। এ পৃথিবীর ও দুই রূপ-এক অন্ধকার অন্যটা আলো। আল্লাহর এক নাম ইয়া মুসাববিরু-রূপদানকারি। এ রূপদানচলছেই। তাই, “এ জগত আলো আর রূপে রহস্যময়।” আল্লাহ বলেনঃ তিনি তোমাদের মাতৃগর্ভের ত্রিবিধ অন্ধকারে পর্যায়ক্রমে সৃষ্টি করেছেন+(সূরাঃসুমার-রুকু-৫-আয়াত-৪২)

মৃত্যু মানব জীবনকে অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে যাওয়া। মাটির অস্তিত্ব অর্থাৎ (অন্ধকাররূপ) থেকে আত্মার রূপ(আলোর রূপে) নিয়ে যাওয়া। এরপর আর নেই কোন অন্ধকার বা মৃত্যু। নেই কোন জাতি ভেদ। নেই প্রশাব-পায়খানা-নেই ক্ষুধার তাড়না। নেই পৃথিবীর মত দৈহিক মিলন। নেই রিপুর তাড়না। তাই; অন্ধকার থেকে আত্মাকে আলোতে নিয়ে যাওয়ার পথ বড় কঠিন। আর, এ জন্য পৃথিবী থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে। তা না হলে আত্মার মুক্তি নেই। চির অন্ধকারে অবস্থান। শুরু হবে আত্মার ক্রন্দন। তখনই প্রয়োজন দেখা দিবে রাসূল (সাঃ) এর। এ আত্মাকে শাফায়েতে কুবরা’র মাধ্যমে অন্ধকার থেকে আলোয় আনা। এ অন্ধকার বড় বেদনা দায়ক-বড় কষ্টের-এ অন্ধকার পৃথিবীর অন্ধকার নয়। এ মানব আত্মার অধোগতির অন্ধকার।
উত্তর দিচ্ছেন : নাজীর আহ্মদ জীবন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন