বিয়ের ১১ দিনের মাথায় এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার রানীশংকৈল উপজেলার করনাইট কুমরগঞ্জ নামক এলাকায়।
পুলিশ ও এলাকা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার পারকুন্ডা গ্ৰামের জাহিরুল ইসলাম'র ছেলে আসাদ (২২) বিয়ের ১১ দিন পর তার শশুর বাড়ি করনাইট এলাকায় বেড়াতে যায়। পর দিন শুক্রবার সকালে করনাইট মাদ্রাসার পশ্চিমে কমির আলীর আম বাগানে আম গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আসাদের মৃত্যু টি হত্যা না আত্মহত্যা ? এনিয়ে এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে। কেউ বলছে হত্যা, কেউ বলছে আত্নহত্যা।
স্থানীয়রা জানায়, গত ২৯ মে আনুষ্ঠানিকভাবে নিহত যুবকের সাথে বিয়ে হয় এ গ্রামের জাহিরুলের মেয়ে জুই (১৮) এর সাথে। বিয়ের ১১ দিন পরে সস্ত্রীক শুশুর বাড়ীতে মেহমান আসে আসাদ। মেহমান আসার পরের দিন তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
থানা পরিদর্শক এস এম জাহিদ ইকবাল মুঠোফোনে বলেন, লাশটি উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল তৈরী করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। প্রতিবেদন হাতে পেলেই মৃত্যুর কারণ উদঘাটন হবে। এনিয়ে মৃত্যু ব্যক্তির খালাতো ভাই শাহাজত বাদী হয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করছে। জিঞ্জাসাবাদের জন্য প্রাথমিকভাবে ছেলের শুশুর জাহেরুল (৪০) শাশুড়ি মেরিনা(৩০) স্ত্রী জুই(১৮) ও শ্যালক মিলনকে(১৫) থানায় নেওয়া হয়েছে।
নিহত যুবকের চাচতো নানী শাশুড়ী প্রতিবেশী করিমন(৫০) জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে নাতনী জামাই আসে তার এক খালাতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে । পরে আবার তাদের আরেক আত্নীয়ও মেহমান এসে রাতে খাওয়া দাওয়া করে খালাতো ভাইসহ বাড়ী চলে যায়। পরে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। তিনি বলেন, সকালে জামাই পাওয়া যাচ্ছে না শুনে আমি তাদের
বাড়ীতে এসে আমার নাতনীর সাথে কথা বলি সে আমাকে,জানায় ফজরের নামাজের আগে আমি অসুস্থ অবস্থায় বমি করতে দরজা খুলে বের হলে সে, ঘর থেকে জুতা ছাড়াই বের হয়ে বাসার পশ্চিম দিকে দৌড় দেয়। তার এমন কান্ড দেখে আমি আমার মা বাবাকে ডেকে তুলি।
তারা ঘুম থেকে উঠতেই সে লাপাত্তা হয়ে পড়ে। এর পর তাকে সারা এলাকায় খুজতে খুজতে ভোর হয়ে যায়। খোজার এক পর্যায়ে বাড়ীর উত্তর সাইডে ৫শত গজ দুরে এক আম
গাছের চিকন ডালের সাথে তার পড়নের লুঙি দিয়েই ঝুলতে থাকতে দেখা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন