করোনা ভাইরাসের সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর নির্দেশনায় দলের সব নেতা-কর্মীরা জনসেবায় রয়েছেন। জনসেবা করতে গিয়ে দলের ৮১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির মধ্যে পাঁচজন মারা গেছেন। সংসদের ১৩০ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের অনেকেই মারা গেছেন। আমাদের এক হাজার নেতা-কর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীয় সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
মোহাম্মদ নাসিমের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও মোহাম্মদ নাসিম ঘরে বসে থাকেননি। তিনি দলের নেতা-কর্মী নিয়ে সাধারণ জনগণের জন্য ত্রাণ সরবরাহ করেছেন, খোঁজ-খবর নিয়েছেন। জনসেবা করতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ। তার মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি সব দলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন যেটা বঙ্গবন্ধু করেছেন। মতের সঙ্গে ভিন্নতা হলেও সুখে-দুঃখে তাদের খোঁজ নিয়েছেন। ১৪ দলকে তিনি সংগঠিত করেছেন, সব সময় আওয়ামী লীগের পাশে রেখেছিলেন ১৪ দলকে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুল আলমের সভাপতিত্ব আয়োজিত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা। বক্তব্য রাখেন, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মোহাম্মদ নাসিমের পুত্র তানভীর শাকিল জয় এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ কমিটির সদস্য সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রনি, যুবলীগ নেতা সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন