শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ায় বড় অবদান রেখেছেন মাওলানা এম.এ. মান্নান

আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০০ এএম

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার বড় অবদান রেখেছেন মাওলানা এম.এ. মান্নান। এরশাদের শাসনামলে তিনি মন্ত্রী হয়ে ইসলামের জন্য অবদান রেখেছেন। বিএনপি ইসলামের নামে জনগণের ভোট চাইলেও ইসলামের জন্য দলটি কিছুই করেনি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির ইফতার ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ভোটের সময় কড়া মুসলমান হয়ে যায়। ভোট চলে গেলে দলটি ইসলামের জন্য, আলেম-ওলামাদের জন্য কাজের কথা ভুলে যায়। এইচ এম এরশাদ সংবিধান সংশোধন করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেছেন। আর বেগম খালেদা জিয়া আলেম-ওলামাদের মাথায় হাত বুলিয়ে ভোট নিয়েছেন। কিন্তু ইসলামের খেদমতে কোনো কাজ করেননি। শুধু ভোটের সময় যারা (বিএনপি) কড়া মুসলমান হয়, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো, ফরিদুল হক খান বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে তেরো বছর আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করছে। এর আগে অনেক সরকার এসেছে, কিন্তু ইসলামের খেদমতে অন্য কোনো সরকার এতো কাজ করেনি। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি ছিল শতবর্ষ পুরনো। বিএনপি জামাতকে নিয়ে ক্ষমতায় ছিলেন। এরশাদ সাহেব আলহাজ মাওলানা এম .এ. মান্নান (রহ:)কে নিয়ে ক্ষমতায় ছিলেন। তখন ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বড় অবদান রেখেছেন মাওলানা এম.এ. মান্নান। আসলে বিএনপি ইসলাম ও আলেম সমাজের জন্য কিছুই করেনি। ভোট এলেই তারা ইসলামের কথা বলে খুব বক্ততা করেছেন এখনো করছেন। কিন্তু কেউ আলেমদের শতবছরের দাবি পূরণ করেনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। একইভাবে কওমি মাদরাসাকে স্বীকৃতি দেয়া হবে এটি কেউ কল্পনা করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বীকৃতি দিয়েছেন। কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি দিলেও চাকরি হবে না এমন মন্তব্যকারীদের বিস্মিত করে শুধু চাকরিই নয়, সরকারি চাকরি দিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশে প্রায় এক লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মক্তবপ্রতি শিক্ষককে মাসে পাঁচ হাজার দুইশত টাকা ভাতা দেয়া, পাশাপাশি বিশ হাজার দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসাকে বারো হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা দেয়া শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে চালু করেছেন।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে বহু ইসলামী রাষ্ট্র আছে। কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশেই বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে সারাদেশে একসাথে প্রতি জেলা ও উপজেলায় ছয়শ’ মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। এ মসজিদগুলো বাইরে থেকে দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়, ভেতরে ঢুকলে মন জুড়িয়ে যায়। ঢাকার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের কোনো গম্বুজ ছিলো না। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রথমবার ক্ষমতায় এসে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। মাঝখানে বিএনপি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকলেও কোনো সরকারই এই কাজ সমাপ্ত করতে পারেনি। আবার ক্ষমতায় এসে পরম করুণাময়ের ইচ্ছায় শেখ হাসিনাই গম্বুজ নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
জান্নাতুল নাঈম মনি ২০ এপ্রিল, ২০২২, ৪:৫৬ এএম says : 0
মাননীয় তথ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। মরহুম মাওলানা এম.এ. মান্নানের গড়া এই প্রতিষ্ঠান যেন বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে সেজন্য আপনার সরকারের আরও সহযোগিতা প্রয়োজন।
Total Reply(0)
তাসলিমা বেগম ২০ এপ্রিল, ২০২২, ৫:০২ এএম says : 0
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাবেক ধর্ম ও ত্রাণমন্ত্রী, মসজিদে গাউছুল আজম ও দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) ছিলেন ইসলামী চিন্তাবিদ, দার্শনিক, বিচক্ষণ রাজনীতিক এক মহান ব্যক্তিত্ব। তার দক্ষতা, প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা ছিল বিরল। মহান আল্লাহ প্রিয় এই ব্যক্তিটিকে জান্নাতবাসী করুন। আমীন।
Total Reply(0)
Mahabub Alam ২০ এপ্রিল, ২০২২, ৫:০২ এএম says : 0
আল্লাহ মরহুমকে জান্নাতে উঁচু মাকাম দান করুন। দেশের অসংখ্য স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার অধিকার বঞ্চিত হাজার হাজার শিক্ষকের মুখে হাসি ফোটাতে মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) যে ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজীবন। তিনি আলেম ওলামা, পীর মাশায়েখ ও শিক্ষক সমাজের শ্রদ্ধেয় পথিকৃৎ ছিলেন। উনাদের পক্ষ থেকে কেয়ামত পর্যন্ত ঈসালে সওয়াব মরহুমের নিকট পৌঁছাতে থাকবে।
Total Reply(0)
আরাফাত হোসেন রবিন ২০ এপ্রিল, ২০২২, ৫:০২ এএম says : 0
প্রিয় মাওলানা মরহুম এম এ মান্নান (রহ.) কেবল একটি নাম নয়, একটি চেতনা, একটি নেতৃত্ব এবং একটি সাধনার প্রতীক। তিনি ছিলেন তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী প্রথিতযশা মহাক্কেক। তিনি ছিলেন এক খানদানী ঐতিহ্যের অধিকারী ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব, একটি ইতিহাস ও চেতনা। এদেশের আলেম সমাজ কাকে সবসময় স্মরণ করবে।
Total Reply(0)
Ibrahim Khalil ২০ এপ্রিল, ২০২২, ৫:০৩ এএম says : 0
মাওলানা মান্নান জাতীয় দুর্যোগ মূহূর্তে নানানভাবে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন। মাদরাসা শিক্ষাসহ শিক্ষাব্যস্থার উন্নয়ন, ওলামায়েকেরামের ঐক্য প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট অবদান রেখে গেছেন। আল্লাহ তাকে উত্তম পুরস্কার দিন।
Total Reply(0)
সাদ বিন জাফর ২০ এপ্রিল, ২০২২, ৫:০১ এএম says : 0
মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেবকে আল্লাহতায়ালা উচ্চপর্যায়ের শিক্ষা, মেধা, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা দিয়ে ছিলেন। মাদরাসা শিক্ষকসহ সমগ্র শিক্ষক সমাজের হৃদয়ের স্পন্দন ছিলেন তিনি। মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেব দেশে ও ইসলামী বিশ্বের সকল রাষ্ট্র প্রধানদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেন। তিনি সকল প্রতিকূলতা দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করেছেন। প্রকৃত অর্থে মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নান সাহেবের তুলনা তিনি নিজেই।
Total Reply(0)
মনিরুল ইসলাম ২০ এপ্রিল, ২০২২, ৪:৫৯ এএম says : 0
শুধু তাই নয়, হুযুর ছিলেন খুবই অমায়িক ও মানবতাবাদী বুযুর্গ ব্যক্তি। কোনো ধর্মের মানুষ তার থেকে নিরাশ হতো না। এলাকার সব মানুষকে নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করতেন।
Total Reply(0)
সোয়েব আহমেদ ২০ এপ্রিল, ২০২২, ৫:০১ এএম says : 0
শুকরিয়া মাননীয় মন্ত্রী। এদেশের মানুষের আরও জানা প্রয়োজন, হুযুর তার সহকর্মীদের নিয়ে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের ব্যানারে সারাদেশ ভ্রমণ করেন। তিনি জাতীয় স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষক ফেডারেশনের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন। প্রেসিডেন্ট এরশাদ সাহেবের দস্তখত নিয়ে একই সাথে ১৬ হাজার এবতেদায়ী মাদরাসার অনুমোদন নেন। এছাড়াও শিক্ষকদের বহু দাবি আদায় করেন। আলিয়া মাদরাসার সকল উন্নতি ও সুবিধা হুযুরের নেতৃত্বেই হয়। মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতে সর্বোচ্চ স্থান দিন। আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন