আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার বড় অবদান রেখেছেন মাওলানা এম.এ. মান্নান। এরশাদের শাসনামলে তিনি মন্ত্রী হয়ে ইসলামের জন্য অবদান রেখেছেন। বিএনপি ইসলামের নামে জনগণের ভোট চাইলেও ইসলামের জন্য দলটি কিছুই করেনি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির ইফতার ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ভোটের সময় কড়া মুসলমান হয়ে যায়। ভোট চলে গেলে দলটি ইসলামের জন্য, আলেম-ওলামাদের জন্য কাজের কথা ভুলে যায়। এইচ এম এরশাদ সংবিধান সংশোধন করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেছেন। আর বেগম খালেদা জিয়া আলেম-ওলামাদের মাথায় হাত বুলিয়ে ভোট নিয়েছেন। কিন্তু ইসলামের খেদমতে কোনো কাজ করেননি। শুধু ভোটের সময় যারা (বিএনপি) কড়া মুসলমান হয়, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো, ফরিদুল হক খান বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে তেরো বছর আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করছে। এর আগে অনেক সরকার এসেছে, কিন্তু ইসলামের খেদমতে অন্য কোনো সরকার এতো কাজ করেনি। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি ছিল শতবর্ষ পুরনো। বিএনপি জামাতকে নিয়ে ক্ষমতায় ছিলেন। এরশাদ সাহেব আলহাজ মাওলানা এম .এ. মান্নান (রহ:)কে নিয়ে ক্ষমতায় ছিলেন। তখন ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বড় অবদান রেখেছেন মাওলানা এম.এ. মান্নান। আসলে বিএনপি ইসলাম ও আলেম সমাজের জন্য কিছুই করেনি। ভোট এলেই তারা ইসলামের কথা বলে খুব বক্ততা করেছেন এখনো করছেন। কিন্তু কেউ আলেমদের শতবছরের দাবি পূরণ করেনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। একইভাবে কওমি মাদরাসাকে স্বীকৃতি দেয়া হবে এটি কেউ কল্পনা করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বীকৃতি দিয়েছেন। কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি দিলেও চাকরি হবে না এমন মন্তব্যকারীদের বিস্মিত করে শুধু চাকরিই নয়, সরকারি চাকরি দিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশে প্রায় এক লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মক্তবপ্রতি শিক্ষককে মাসে পাঁচ হাজার দুইশত টাকা ভাতা দেয়া, পাশাপাশি বিশ হাজার দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসাকে বারো হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা দেয়া শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে চালু করেছেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে বহু ইসলামী রাষ্ট্র আছে। কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশেই বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে সারাদেশে একসাথে প্রতি জেলা ও উপজেলায় ছয়শ’ মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। এ মসজিদগুলো বাইরে থেকে দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়, ভেতরে ঢুকলে মন জুড়িয়ে যায়। ঢাকার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের কোনো গম্বুজ ছিলো না। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রথমবার ক্ষমতায় এসে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। মাঝখানে বিএনপি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকলেও কোনো সরকারই এই কাজ সমাপ্ত করতে পারেনি। আবার ক্ষমতায় এসে পরম করুণাময়ের ইচ্ছায় শেখ হাসিনাই গম্বুজ নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন