টিকা নিয়ে সাত সমুদ্র ১৩ নদীর পার থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মওলানা আকরাম খাঁ হলে সময়ের সাহসী জননেত্রী শেখ হাসিনা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় করোনা মোকাবিলা আমরা অনেক ভালোভাবে ও সক্ষমভাবে করেছি। আপনারা ভারত-পাকিস্তানের দিকে তাকান, সেই তুলনায় আমরা ভালো করেছি।
মন্ত্রী বলেন, অনেক দেশ যখন টিকা পায়নি, সেই সময় থেকে আমরা টিকা দেওয়া শুরু করেছি। মাঝখানে ভারতে করোনা পরিস্থিতি চরম অবনতি হওয়ার কারণে সেরাম থেকে টিকা পাইনি। আমাদের সরকার অনেক আগে থেকেই অন্যান্য দেশ থেকে টিকা আনার চেষ্টা করছিল। এজন্য টিকা আনা সম্ভব হয়েছে। চীন ও আমেরিকা থেকে টিকা আসছে এবং রাশিয়া থেকেও আসবে। এমনকি আমরা নিজেরাও টিকা উৎপাদনের চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, টিকা যখন প্রথম দেশে আনা হলো তখন বিএনপি বিরোধিতা করেছে। এই টিকা যেন মানুষ না নেন। বিএনপি থেকে সিনিয়র নেতারাও অপপ্রচার চালিয়েছেন। আবার এখন গোপনে তারা টিকা নিচ্ছেন। তারা টিকা নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ ও স্বস্তিবোধ করছেন। তবে টিকা নিয়ে সাত সমুদ্র ১৩ নদীর পার থেকে ষড়যন্ত্র করছে এবং বৈদেশিক শাখা থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বাংলাদেশ যেন টিকা না পায়। কোন ষড়যন্ত্রই কাজ হবে না। টিকা আসছে আবার ব্যাপকভাবে জনগণকে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন দেশে না আসেন এজন্য অনেক খবর পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি অটল ছিলেন। যেদিন তিনি দেশে ফিরে আসেন লাখ লাখ মানুষ তাকে গ্রহণ করা জন্য সমবেত হয়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, ৪০ বছরের পথ চলার সমস্ত প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্রকে উপড়ে ফেলে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে তিনি বাংলাদেশের মানুষের পাশে থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দীর্ঘ ২১ বছর পর তার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে। এই পথ চলায় তিনি প্রমাণ করেছেন, তিনি সময়ের সাহসী সন্তান শুধু নয়, মৃত্যুকে উপেক্ষা করে যেকোনো ঝুঁঁকি নিতে পারেন। যখন প্রচন্ড ষড়যন্ত্র হয়, প্রচন্ড দুর্যোগ হয় তখন তিনি ধীরস্থির থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সেকারণে তার প্রতিপক্ষ আজ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের মাথা পিছু আয় পাকিস্তানকে অনেক আগেই অতিক্রম করেছে। সম্প্রতি ভারতকেও ছাড়িয়েছে। এগুলো প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বলরাম পোদ্দার, সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন