দশ লাখ টাকা যৌতুক না দেয়ায় স্ত্রীকে তালাকের হুমকি দিয়েছেন ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক আব্দুল্লাহ ওরফে আব্দুল আলী। যৌতুক দাবিতে ইতোমধ্যে স্ত্রী মোছা. শারমিন আক্তারকে নির্যাতন করে দুই সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি রেজিস্টারের কাছে পৃথক অভিযোগ দিতে বলায় গত রোববার রেজিস্টার বরাবর পৃথক অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীর পিতা মো. শাজাহান মিয়া। গতকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ন কবীর জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে নাকি অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে। কিন্তু ভুক্তভোগীর পিতা মো. শাজাহান মিয়া জানান, এ বিষয়ে তারা অবগত নন এবং তালাকের কোন কাগজপত্রও তারা পাননি। এ সময় অভিযুক্তের পক্ষে সাফাই গেয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, এ ঘটনায় আমাদের কিছুই করার নেই। তবে ওই কর্মচারীকে বিষয়টি সামাজিকভাবে আপোষ করতে বলা হয়েছে। যদি তা না হয়, তবে মামলা হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পিতা মো. শাজাহান মিয়া বলেন, যৌতুক না দেয়ায় আমার মেয়েকে তালাকের হুমকি দিচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত তালাক সংক্রান্ত কোন কাগজ আমরা পাইনি। মূলত দশ লাখ টাকা যৌতুকের বিষয়টি আঁড়াল করার জন্য তারা এসব কথা বলছে। এ সময় তিনি তালাক নিয়ে রেজিস্ট্রারের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ১০নং দাপুনিয়া ইউনিয়নের শষ্যমালা পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. শাজাহান মিয়ার একমাত্র কন্যা শারমিন আক্তারকে বিয়ে করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক আব্দুল্লাহ। তাদের দাম্পত্য জীবনে সাইম ও সিয়াম নামে দু’টি পুত্র সন্তান রয়েছে। এদের মধ্যে বড় সন্তান সাইম বুদ্ধি প্রতিবন্ধি। আরও জানা যায়, বিয়ের কিছুদিন পর থেকে ভুক্তভোগীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে দশ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আব্দুল্লাহ। এছাড়া আব্দুল্লার মাও নির্যাতন করে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন