শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

পাতাল রেলের যুগে দেশ : ঢাকায় নির্মাণ করা হবে ১১টি রুট

কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় ২ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা : কাজ শুরু মার্চে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০২১, ১২:০৬ এএম

ঢাকায় মেট্রোরেলের পাশাপাশি ১১টি পাতাল রেল নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে রুটগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে কৌশলগত পরিকল্পনা। এমআরটি-১ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকায় প্রথম পাতাল রেলপথ নির্মাণ কাজ করা হবে। ২০২২ সালের মার্চে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। প্রকল্পের আওতায় ঢাকার বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত পাতাল অংশের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার ও কমলাপুর থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত উড়ালপথের দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার। এই রেলে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে ২০২৬ সালে। গতকাল বৃহস্পতিবার অনলাইন সভায় এ তথ্য জানান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।

তিনি জানান, প্রকল্পের জন্য ২৫টি ট্রেন কেনা হবে। প্রতিটি ট্রেনে ৮টি করে কোচ থাকবে। একেকটি ট্রেনে ৩ হাজার ৮৮ জন যাত্রী পরিবহন করা যাবে। পুরো রেলপথ দিয়ে প্রতিদিন ৮ লাখ যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। এম এ এন ছিদ্দিক জানান, প্রকল্পের ডিপো নির্মাণ করা হবে সবার আগে। পর্যায়ক্রমে পাতাল রেলপথ, স্টেশনসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে এমআরটি-১ প্রকল্পের কাজ করা হবে। প্রথম প্যাকেজের আওতায় ডিপোর ভূমি উন্নয়ন ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ছয় মাসের মধ্যে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জে ডিপোর কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী, টঙ্গী থেকে কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে পাতাল রেল।

জানা গেছে, ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাতাল রেল নির্মাণে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৮ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকা)। এ হিসাবে প্রতি কিলোমিটার পাতাল রেল নির্মাণে ২৭২ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা খরচ হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় ১১টি পাতাল রেল রুট নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল থেকে তেঘরিয়া বাজার, মুসলিম নগর, সদরঘাট, গুলিস্তান, কাকরাইল, হাতিরঝিল, বিজি প্রেস, ভাসানটেক, কালশী, উত্তরা সেক্টর ১৭ হয়ে টঙ্গী জংশন পর্যন্ত যাবে এ পাতাল রেলপথটি। এর দৈর্ঘ্য ২৯ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার। কৌশলগত পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যেই পাতাল রেল বাস্তবায়ন হয়ে যাওয়ার কথা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মেট্রোরেল ও পাতাল রেল সমজাতীয় যোগাযোগ অবকাঠামো। পাতাল রেল সাধারণত মাটির নিচে গড়ে তোলা হয়। নির্মাণে ব্যবহার করা হয় অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি। স্বভাবতই এর নির্মাণ ব্যয়ও হয় অনেক বেশি। সাধারণত এক কিলোমিটার পাতাল রেল নির্মাণে অন্তত ৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়। তবে সা¤প্রতিক সময়ের মধ্যে নির্মিত সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মতো দেশ ও প্রশাসনিক অঞ্চলগুলোতে পাতাল রেলের নির্মাণ ব্যয় আরো বেশি। সিঙ্গাপুরের ডাউনটাউন এমআরটি লাইন (পুরোটাই পাতালপথে) নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি খরচ হয়েছে ৪৯৩ মিলিয়ন ডলার। আর হংকংয়ের শা তিন সেন্ট্রাল লিংক নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি খরচ হয়েছে ৫৮৬ মিলিয়ন ডলার। এখন পর্যন্ত প্রাক্কলিত হিসাব বলছে, সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের তুলনায় বাংলাদেশে পাতাল রেল নির্মাণে খরচ কম হবে।
ঢাকায় পাতাল রেল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার এজন্য একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সেতৃু কর্তৃপক্ষ। এ প্রকল্পের আওতায় গত মার্চ মাসে ঢাকার একটি হোটেলে ‘ঢাকা সাবওয়ে প্রজেক্ট’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে ঢাকাকে ঘিরে সব মিলিয়ে ২৫৮ কিলোমিটার পাতাল রেল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার কথা জানায় সেতু কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০২ কিলোমিটার, ২০৪০ সালের মধ্যে আরো ৮৫ কিলোমিটার এবং শেষ ধাপে ২০৫০ সালের মধ্যে ৭১ কিলোমিটার পাতাল রেল নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানায় সংস্থাটি।

সব মিলিয়ে পাতাল রেলের রুট চিহ্নিত করা হয়েছে ১১টি। এর মধ্যে গাবতলী থেকে ভোলাব পর্যন্ত রুট বি, কেরানীগঞ্জ থেকে পূর্ব নন্দীপাড়া পর্যন্ত রুট ডি, গাবতলী থেকে বসুন্ধরা রিভারভিউ পর্যন্ত রুট জি, হাজারীবাগ থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত রুট জে, ঝিলমিল থেকে টঙ্গী জংশন পর্যন্ত রুট ও, শাহ কবির মাজার রোড থেকে সদরঘাট পর্যন্ত রুট পি, কেরানীগঞ্জ থেকে সোনাপুর পর্যন্ত রুট এস, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত রুট টি, তেঘরিয়া বাজার থেকে বন্দর পর্যন্ত রুট ইউ, টঙ্গী জংশন থেকে কোনাবাড়ি পর্যন্ত রুট ভি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গাবতলী পর্যন্ত রুট ডব্লিউ চিহ্নিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে পুরো পাতাল রেল নেটওয়ার্কে স্টেশনের সংখ্যা হবে ২১৫টি।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় পাতাল রেল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি অ্যান্ড প্রিলিমিনারি ডিজাইন ফর কনস্ট্রাকশন অব ঢাকা সাবওয়ে’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। এজন্য ব্যয় হচ্ছে ৩২১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। পাতাল রেল নির্মাণের লক্ষ্যে স্পেনের কোম্পানি টিপসার নেতৃত্বে যৌথভাবে জাপানের প্যাডকো, বিসিএল অ্যাসোসিয়েটস, কেএসসি ও বেটস সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করছে। সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী, ২৩৮ কিলোমিটার পাতাল রেল নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইসহ ৯০ কিলোমিটার পাতাল রেল নির্মাণে প্রাথমিক নকশা প্রণয়ন করবে এসব পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে প্রকল্পটির কাজ ৬৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (11)
Kayes Khan ১৮ জুন, ২০২১, ৩:৪৩ এএম says : 0
ঢাকা কেন্দ্রিক উন্নয়নচিন্তা বন্ধ করুন। ঢাকা শহর মানেই সমগ্র বাংলাদেশ নয়। বাকি ৬৩ টি জেলাও আছে। সারাদেশের মানুষের করের টাকায় 'তিলোত্তমা" ঢাকা শহর গঠন চাই না।। মানুষের ঢাকামুখীতা কিভাবে দূর করা যায় সে ব্যবস্থা নিন। দেশের আর্থিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিকেন্দ্রীকরণ করুন।
Total Reply(0)
Nirjhor Ahmed ১৮ জুন, ২০২১, ৩:৪৩ এএম says : 0
ধন্যবাদ বাংলাদেশ সরকার তথা অাওয়ামীলীগ কে জনগনের যানজটে দুর্দশা ও হেনস্হা হওয়া থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে পাতাল রেল যা মানুষের শুধু স্বপ্ন ছিলো, তা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়ায়।
Total Reply(0)
MD Saiduzzaman ১৮ জুন, ২০২১, ৩:৪৪ এএম says : 0
পাতাল রেল চালু করার ইচ্ছা বন্ধ করুন। বুলেট ট্রেন চালু করুন। দেশের কাজে লাগবে। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া। সময় সেভ হবে। ভাল না লাগলেও শুনতে বুঝার চেষ্টা করুন। পাতাল রেল প্রকল্প হাতে নিতে যে অর্থ খরচ হবে তা এখন ঠিক হবে না। রেল এর যে কাজ গুলো শেষ করা দরকার তা আগে করুন। লাইন ডাবল করুন। ট্রেন ডাবল চালু করুন আন্ত জেলায়। তাহলে জ্যাম কমে যাবে ইনশাল্লাহ।
Total Reply(0)
Ammar Shamil ১৮ জুন, ২০২১, ৩:৪৪ এএম says : 0
পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ঠিক না করে কিভাবে পাতালরেলের কাজ শুরু করে বুঝে আসেনা।
Total Reply(0)
Nasreen Banu ১৮ জুন, ২০২১, ৪:০৩ এএম says : 0
কি জানি বাবা,সমতলেই যত দূর্ঘটনা পাতালে আবার কি হবে? আমরা তো আবার জাতি হিসেবে দূর্ভাগা। তবে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসতে তো হবেই।
Total Reply(0)
Mehedi Hasan Juwel ১৮ জুন, ২০২১, ৪:০৩ এএম says : 0
আগে মেট্রোরেল এর কাজ শেষ করেন এক মেট্রোরেলের কারনে জ্যামে ঘন্টার পর ঘন্টা চলে যায় আবার ... রেল করবে
Total Reply(0)
Fatema Khanom ১৮ জুন, ২০২১, ৪:০৪ এএম says : 0
এক মে‌ট্রো‌রে‌ল আর বিআর‌টি প্রকল্প কর‌তে গি‌য়েই তো সময়‌ক্ষেপন‌ে গাজীপু‌রে জ্যাম লে‌গে আ‌ছে দুই তিন বছর ধ‌রে । আবার এক জায়গা‌তে এই প্রকল্প কেন ? কার বু‌দ্ধি‌তে হ‌চ্ছে এসব ? যা ম‌নে হ‌চ্ছে সরকার আস‌লে বিশ্ব‌কে দেখা‌তে চায় আমা‌দের হ্যান আ‌ছে ত্যান আ‌ছে মে‌ট্রো‌রেল আ‌ছে, বু‌লেট ট্রেন আ‌ছে, পাতাল রেল আ‌ছে । এসব না ক‌রে ঢাকার বাই‌রের জেলাগু‌লো‌তে শিল্পকারখানায় টাকা ল‌গ্নি করা হোক যা‌তে বাই‌রের জেলার মানুষ ঢাকায় না আ‌সে আর ঢাকায় যারা এখন অ‌তি‌রিক্ত মানুষ বাস কর‌ছে তারাও ঢাকা ছে‌ড়ে নি‌জ নিজ এলাকায় চ‌লে যে‌তে পা‌রে এবং সেখা‌নেই ব্যবসা বা‌নিজ্য ক‌র্সেু‌খে দিনযাপন কর‌তে পা‌রে প‌রিবা‌রের সা‌থে ।
Total Reply(0)
ash ১৮ জুন, ২০২১, ৫:২৫ এএম says : 0
AUSTRALIA TE LOK SHONGKHA SHOB MILYE 25MILION HOBE, SHEKHANE SYDNEY TE MATRORAIL E SHOB JAYGAY DITOL TRAIN USE KORCHE, OI TRAIN WPOR DIA MATIR DIA EVEN PATALEO CHOLE ( DOUBLE MANUSH CARRY KORE ) KINTU BANGLADESH E ATO LOK SHONGKHA ( BISHESH KORE DHAKAY) KINTU ER PORE O SINGLE TRAIN BEBOHAR KORBE (WHY?) KENO DITOL TRAIN ER CHINTA KORA HOLO NA???? PODDA SHETUTE HAJAR HAJAR KUTHI $ KHOROCH KORA HOLO KINTU OKHANE SINGLE TRAIN LINE BOSHANO HOLO. WHY??????
Total Reply(0)
মোহাম্মদ শাহআলম ১৮ জুন, ২০২১, ১০:২৩ এএম says : 0
বাংলাদেশের পেক্ষাপটে বা বাস্তবতায় পাতাল রেল অর্থের বড় মাপের অপচয়। এসব না করে মেট্ট রেলের কাজ এবং পদ্ধাসেতু রেললাইন নিদ্ধারিত সময়েই শেষ করুন।ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় বেশি করে আনডার পাস নিন্মান করুন।জেলায় জেলায় উন্নয়ন করুন জাতে মানুষ শহরমুখি না হয়। এতেই ঢাকা শহরের যানজট থাকিবে না। হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা সব শ্রেনির জনগণের জন‍্য কম খরচে পেতে পারে তার ব‍্যবস্তা করুন। সরকারি বেসরকারী সব হাসপাতালের এবং চিকিৎসকের ফি নিদ্ধারন করে কঠোরভাবে মনিটর করুন।
Total Reply(0)
asif ১৮ জুন, ২০২১, ২:০৩ পিএম says : 0
Faltu khorcha, tar thake flyover bariye jaanjot koman, poysa besi hole gorib der unnoti te nojor din .. age poribohon bebosta dhele sajan pore patal probesh korben.
Total Reply(0)
Wahiduzzaman ৩ এপ্রিল, ২০২২, ৩:১৮ এএম says : 0
সরকার কোন বৈদেশিক ঋণ প্রকল্প হাতে নেওয়ার পূর্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হিসাব করে দেখতে হবে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন আছে। ঢাকায় পাতাল রেল হাতে নেওয়ার আগে অবশ্যই জরুরী ভাবে তা বিবেচনায় আনতে হবে। ঋণের অর্থ আমরা কিভাবে পরিশোধ করবো এতে আমাদের আর্থিক সক্ষমতা কতটুকু আছা তা বিবেচনায় আনতে হবে। যদি আমরা তা না করি তাহলে আমাদের ভয়াবহ পরিনিতি হতে পারে। শ্রিলন্কা তার উৎকৃষ্ঠ উদাহরন। বতর্মানে আমাদের বাজেটের বিশাল অন্কের অর্থ ঋণ পরিশোধে ব্যায় করতে হচ্ছে যা দিন দিন আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে! এত বড় প্রকল্প নেওয়ার পূর্বে জানযট নিরসনের অন্য কোন উপায় আছে কি না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। যেমন কমলাপুর রেলস্টেশন স্হান্তর করে ঢাকার বাহিরে নেওয়ার চিন্তা অথবা ঢাকায় অবস্হিত রেলগেটের জন্য ওভার পাস অথবা আন্ডার পাস তৈরী করা। চার রাস্তার মোড়ের জ্যাম কমানোর জন্য ফ্লাই ওভার তৈরী করার চিন্তা করা যেতে পারে। এতে করে আর্থিক বিবেচনায় সাশ্রয়ী হওয়ার কথা ও বেশি সংখ্যক জনগণের ভোগান্তি কমানো যেতে পারে। আর একটি বিষয় লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন, ঢাকার উন্নয়ন করা শুধু দেশের অন্য অন্চলের জনগণের সাথে বৈসম্য তৈরী করছে,যা কাম্য নয়। সুতরাং দেশের অন্য অন্চলের উন্নয়ন হলে ঢাকায় আসার প্রবনতা কমে যাবে। দেশের উন্নয়ন করা মানে এই নয় যে দেশকে দেউলিয়া করা। ধন্যবাদ
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন