বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের শিকারপুর পূর্বপাড়া (বাঁশবাড়িয়া কসাইপাড়া) গ্রামে টাকা চুরির অভিযোগ এনে রাস্তা থেকে জোর করে বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মম নির্যাতন এর ঘটনা ঘটেছে। আহত যুবককে মূমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
এব্যাপসরে থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এরুলিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের শিকারপুর পূর্বপাড়া (বাশঁবাড়িয়া কসাইপাড়া) গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে, দিনমজুর সাদ্দাম হোসেন (২১) কে গত জুন সকালে একই গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেন এর ছেলে আইনুল ইসলাম এর নেতৃত্বে, রঞ্জন, সালমা বেগম, ভোজো সহ অজ্ঞাত ৬/৭ জন ব্যক্তি তাকে তুলে নিয়ে আইনুলের বাড়িতে আটকে রাখে।
সেখানে সকাল ৯টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত সাদ্দামকে হাত পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় লোহার রড ও কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক মারপিট। এমনকি তার পুরুষাঙ্গে বিদ্যুৎ এর শক দিয়ে কথিত টাকা চুরির কথা স্বীকার করার জন্য আরো চাপ দেওয়া হয় তাকে। শুধু তাই নয় আহত সাদ্দাকে নির্যাতনের কারণে সে অসুস্থ ও পীপাসার্ত হলে সে পানি খেতে চাইলে
তার মুখে প্রস্রাব ঢেলে দেওয়া হয় বলে হাসপাতালে শুয়ে জানায় সাদ্দাম।
লোক মুখে এসব কথানজানতে পেরে সাদ্দামের বিধবা মা জরিনা বেওয়া (৬৫) ও বোন রানু বেগম সালমা বেগম এর বাড়িতে গেলে তাদেরকেও মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
বাধ্য হয়ে জরিনা বেওয়া সদর থানা পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ১০ টার দিকে সাদ্দামকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
এ ঘটনা সাদ্দামের বৃদ্ধা মা আইনুল ইসলামকে বিবাদী করে ৪ জনের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনায় দিন মজুর অসহায় সাদ্দামের পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। পাশাপাশি উক্ত ন্যাক্কার জনক ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
এব্যপারে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সেলিম রেজা জানান, ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে জানার পর সাদ্দামকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং দুষ্কৃতকারীদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন