চোর অপবাদ দিয়ে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নে কুসুম আক্তার (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রী ও তার মা ঝুমুর আক্তারকে (৩৮) দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনকারীরা ওই স্কুলছাত্রী ও তার মায়ের নাকে, কানে ও গলায় থাকা স্বর্ণালংকার এবং ঘর থেকে নগদ টাকা নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। নির্যাতনের সময় স্কুলছাত্রী ও তার মায়ের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টিকটকে ছেড়ে দিয়েছে
নির্যাতনকারীরা, যা ইতোমধ্যে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে স্কুলছাত্রীর বাবা ইদ্রিস থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বুড়িরচর ৫নং ওয়ার্ড রেহানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইদ্রিসদের সাথে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ছিলো জহির উদ্দিনের জিল্লুর রহমানসহ কয়েকজনের সাথে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার ঝামেলা হয়েছিলো। এসব ঘটনার জেরে গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে বুড়িরচর শহীদ আলী আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল দশম শ্রেণির ছাত্রী কুসুম আক্তার। এসময় জিল্লু তার লোকজন নিয়ে কুসুমকে আটক করে এলোপাতাড়ি মারধর করে। কুসুমের চিৎকারে তার মা ঝুমুর এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর শুরু করে জিল্লু ও তার লোকজন। মারধরের একপর্যায়ে তাদের দুই জনকে ধরে নিয়ে পাকা ঘরের একটি পিলারের সাথে দড়ি দিয়ে বেধে পুনঃরায় নির্যাতন করে তারা। বেধে রাখার ভিডিওটি নিজের মোবাইলে ধারণ করে জিল্লু।
পরবর্তীতে এ ভিডিও দিয়ে টিকটক তৈরি করে নিজের আইডিতে আপলোড করে জিল্লুর রহমান, যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কায়সার খসরু বলেন, ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাতিয়া থানার ওসিকে অবগত করা হয়েছে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, ভুক্তভোগির পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তথ্য প্রযুক্তি আইনে এবং নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভিডিও ধারণকারী ও টিকটক তৈরিকারী জিল্লু চট্টগ্রাম পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে, তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন