ফতুল্লায় জোসনা(৩৮)নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃস্টি হয়েছে।পুলিশ শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ফতুল্লা থানার ধর্মগঞ্জ চতলামাঠস্থ তার স্বামীর বাড়ী থেকে পুলিশ মৃত দেহ উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত জোসনার স্বামী ইলিয়াস(৫০) কে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। নিহত জোসনা ফতুল্লা মডেল থানার বক্তাবলীর মৃতহাবিবুর রহমান হাবিবের মেয়ে।
নিহতের স্বজনদের দাবী পরকিয়া সম্পর্কের জের ধরে জোসনার স্বামী পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মৃতদেহ ঘরের ভিতরে ফেলে রেখেছিলো।গৃহবধূ জোসনার ভাই আব্দুল মতিন জানান,২৪ থেকে২৫ বছর পূর্বে পারিবারিক সম্মতিক্রমে ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠস্থ দর্জি বাড়ীর তাইজুদ্দিন দর্জির পুৃত্র ইলিয়াস দর্জির সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে বন্যা(২৩) ও হাফসা(৭) বছর বয়সী দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার বোনের বাসায় রানি নামের একটি মহিলা ভাড়া থাকতো।রানিও বিবাহিত ছিলো। স্বামীকে নিয়েই সেই বাসায় ভাড়ায় থাকতো।
সেই মহিলার সাথে তার বোন জামাই ইলিয়াস পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে রানি কে ঐ বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। রানি অন্যত্র ভাড়ায় চলে গেলেও তার বোন জামাই ইলিয়াসের সাথে পরক্রিয়ার সম্পর্কটা থেকেই যায়। এ নিয়ে প্রায় সময় তার বোনের সাথে জগড়া হতো স্বামী ইলিয়াসের। শুধু কথাকাটাকাটির সীমাবদ্ধ থাকতোনা তার বোনের স্বামী প্রায় সময় তার বোন জোসনা কে শারিরীক নির্যাতন করতো।
এ নিয়ে পারিবারিক ও স্থানীয় ভাবে একাধিক বার শালিস বৈঠক ও হয়েছিলো। কিম্ত তারপরেও পরকিয়া সম্পর্ক বজায় রেখেছিলো। প্রতিবাদ করলে তার বোনকে প্রতিনিয়ত মারধর করতো। আর তাই তাদের ধারনা পরিকল্পিত ভাবে তার বোন কে শুক্রবার রাতে হত্যা করেছে তার বোনের স্বামী ইলিয়াস।
তিনি আরো বলেন তার বোনের মৃত্যুর সংবাদটি বোনের স্বামীর পরিবার থেকে কেউ তাদেরকে জানায়নি। পাশের বাড়ীর লোকজন মোবাইল ফোন করে তাদেরকে তার বোনের মৃত্যুর সংবাদটি জানায়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শাহাদাত জানায় ,গৃহবধূ জোসনার মৃতদেহ উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ইলিয়াস কে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন