বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে নওমুসলিম এক মসজিদের ইমামকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। গত শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের তুলা ঝিড়ি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা গিয়েছে। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তার নাম মোহাম্মদ ওমর ফারুক। আগের নাম ছিল বেরণ চন্দ্র ত্রিপুরা। সে মৃত তয়ারাম ত্রিপুরার ছেলে। ত্রিপুরা সম্প্রদায় থেকে কয়েক বছর আগে সে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে ওই এলাকায় একটি অস্থায়ী মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পালন করতেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন থেকে সন্ত্রাসীরা ওই মসজিদের ইমামকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। ঘটনাস্থল তুলাঝিড়ি পাড়ায় গত কয়েক বছর ধরে নওমুসলিমসহ বেশ কিছু পরিবার বসবাস করে আসছিল। তারা সেখানে টিনের ছাউনির কাঁচা ঘরের একটি অস্থায়ী মসজিদ নির্মাণ করে। সেখানে মোহাম্মদ ওমর ফারুক মসজিদে ইমামতি করে আসছিলেন। গত শুক্রবার রাতে ৪/৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ঘরবাড়ি ঘেরাও করে ওমর ফারুককে ঘর থেকে ডেকে এনে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করে।
বান্দরবানে পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীরা রাতে তাকে ঘর থেকে ডেকে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার পর সেখানে রোয়াংছড়ি ও পার্শ্ববর্তী লংলাই সেনা ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এছাড়া রোয়াংছড়ি থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে, রোয়াংছড়িতে নওমুসলিম এক মসজিদের ইমামকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে পাবত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। গতকাল শনিবার সকালে মুক্তমঞ্চের সামনে এক ঘণ্টা ব্যাপি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বান্দরবান পাবত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ সভাপতি কাজি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, সহ-সভাপতি আবুল কালাম ও মিজানুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বান্দরবান পাবত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নেতা ক্যাপ্টন তারু মিয়া। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে পাবত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন