সুন্দরবনের হরিণ শিকারিদের সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে এক বনকর্মীর বিরুদ্ধে। মো. মোস্তফা হাওলাদার বনবিভাগের নৌকা চালক (বিএম নং-২৭) পদে চাকরি করেন। বর্তমানে তিনি পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রে কর্মরত আছেন।
অভিযুক্ত বনকর্মী বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম খাদা গ্রামের মৃত আদেল উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। একই গ্রামের প্রতিবেশী মো. জালাল বয়াতী নামে এক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে লিখিতভাবে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বিএম মোস্তফা জ্ঞানপাড়া, চরদুয়ানীসহ বিভিন্ন এলাকার শিকারিদের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে সুন্দরবনের হারিণ শিকারের সুযোগ করে দেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ কারবারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকার মালিক হয়েছেন। ইতিমধ্যে অনেক জমিজমা কিনেছেন। বালু কাটা ড্রেজার কিনে তার ভাইকে দিয়ে তা পরিচালনা করেন।
এমনকি, কোনো হরিণ শিকারি তার প্রাপ্য না দিলে তখন তাকে আটক করে বন্যপ্রাণী শিকারের মামলায় ফাঁসিয়ে দেন। বিষয়টি বনবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিরা জানার পরও অজ্ঞাত কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেন না।
লিখিত অভিযোগ জালাল বয়াতি আরো জানান, বিএম মোস্তফা গত ২৩ মে ছুটিতে বাড়ি আসেন। ১১ জুন পর্যন্ত ছুটিতে থাকাকালীন কমপক্ষে ১৫ বার চরদুয়ানী, জ্ঞানপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় চোরাই শিকারিদের বাড়িতে যান। তার বাড়িতে হরিণের মাংস দিওে ভোজের আয়োজন করা হয়। তাই একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে একজন সরকারি কর্মচারীর এমন অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ এবং তার শাস্তি দাবি করেন তিনি।
জানতে চাইলে বিএম মোস্তফা হাওলাদার অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ২০১১ সালে জালাল বয়াতীর আপন ভাই খয়ের মিয়া বয়াতীকে বাঘ ও হরিণের চামড়াসহ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করি। এছাড়া জালাল বয়াতীর কাছে আমার পাওনা ৫০ হাজার টাকা চাইতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হন। এসব কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ করছেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন