মাদারীপুরে বেড়েই চলছে করোনার প্রকোপ। গত ২৪ ঘন্টায় মাদারীপুরে করোনায় আক্রান্তের হার অর্ধেকেরও বেশি। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এটাই মাদারীপুর জেলায় সব্বোর্চ আক্রান্তের হারের রেকর্ড। এর আগে এতো আক্রান্তের নজর নেই বলে দাবী স্বাস্থ্য বিভাগের।
মাদারীপুর স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘন্টায় ৫৬টি নমুনার মধ্যে ৩১ জনই আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মাদারীপুর সদরে ৬ জন, শিবচরে ১ জন এবং রাজৈরে ২৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। তবে কালকিনি উপজেলায় কোন আক্রান্ত হয়নি। আক্রান্তের হার ৫৫.৩৫ শতাংশ।
সাংস্কৃতিক-কর্মী এনায়েত হোসেন নান্নু বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে সাধারণ মানুষ যেভাবে ঘোরাফেরা করছে তাতে তো সংক্রমণ বেড়েই চলবে। মানুষ যদি লকডাউন মেনে চলতো তাহলে বর্তমানে আমাদের এরকম স্থানে যেতে হতো না। আমি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে বসে থাকার জন্য অনুরোধ করবো। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হলে অবশ্যই সকলের মাক্স ব্যবহার করবো।’
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার মাত্রা মাদারীপুরে দিন দিন বেড়েই চলছে। যে কারণে মাদারীপুর জেলাকে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অতি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে রেড জোন হিসাবে ধরা হয়েছে। এসব বিবেচনায় মাদারীপুরে গত ২২ জুন থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।’
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘মাদারীপুর জেলাকে অতি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করায় লকডাউন চলছে। কেউ অমান্য তাদের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে পুলিশের প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করছি।’
পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশ ইজিবাইক, অটো, অটোরিক্সা থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার জন্য তাদেরকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অনেকে অমান্য করলে তাদের ব্যাপারে আমরা কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন