ঢাকার মগবাজার ওয়্যারলেস গেইটে ভয়াবহ এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনতলা একটি ভবনের নিচতলায় ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে গেছে, বিস্ফোরণে ১২টি বাণিজ্যিক ভবন ও ২টি আবাসিক ভবন ও ৩টি যাত্রীবাহী বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইতোমধ্যেই এই ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা। পাশাপাশি হতাহতের ঘটনায় শোকাহত তারা।
এ ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সাংবাদিক রুমানা জামান লিখেন, ‘অফিস থেকে মাত্র কয়েক ক্রশ দূরে মগবাজারের বিস্ফোরণের পর নিউজ করতে গিয়ে অনেক বীভৎস সিনেম্যাটিক দৃশ্য দেখেছি। কিন্তু ঝলসে যাওয়া আধ পোড়া এই বাসটা দু'চোখ থেকে সরছে না। বহুদিনের বড্ড চেনা ও আমার। আল মক্কা নামের এই বাসটাতে চড়ে ওই নিকটতম সময়েই রোজ বাড়ি ফিরি। অফিস থেকে বের হয়ে অস্থির হয়ে অপেক্ষা করি, ওরে দেখলেই দৌড়ে গিয়ে উঠে পড়ি, জ্যামের ভেতর ঘামে ভিজতে ভিজতে বসে থাকি। আজও আমার এই বাসটাতে চড়েই বাড়ি ফেরার কথা ছিলো। চারপাশটা কেমন জানি ঘুরছে। মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালের বাইরে পুড়ে শক্ত হয়ে থাকা নাম পরিচয়হীন মানুষটার লাশ, এগারো মাসের ছোট্ট বাচ্চাটার মাথা দিয়ে গড়িয়ে পড়া রক্তের শেষ বিন্দুটুকু ভুলতে পারছি না। মনে হচ্ছে এক গভীর ট্রমার ভেতর আছি। বুকের ভেতরটা এমন ফাঁকা লাগে নি বহুদিন। মৃত্যু তো জীবনের নিশ্চিত সত্য, তবে আল্লাহ যেনো সাধারণ এক মৃত্যু দিয়ে দুনিয়া থেকে তুলে নেন। যে যেখানে আছেন, পরম করুণাময় সবাইকে সুস্হ্য ও নিরাপদ রাখুন। ফি আমানিল্লাহ।’
এ বিষয়ে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীর প্রতীক তাঁর ফেইসবুকে লিখেন, ‘ঢাকা মহানগরের মগবাজার ওয়ারলেস এলাকায় বিস্ফোরণ-নিহত ও আহতদের প্রতি সমবেদনা । বিশ্বাস করছি যে, ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হবে।’
সঙ্গীতশিল্পী বেলাল খান লিখেন, ‘এতক্ষণে কম বেশী সবাই অবগত হয়েছেন, আজ আমাদের মগবাজার ওয়ারলেস এলাকায় কত ভয়াবহ বিস্ফারণ সংঘটিত হয়েছে। এর কারণ এবং ক্ষয় ক্ষতির সঠিক তথ্য এখনও পরিমাপ না করা গেলেও ভয়াবহতা আচ করা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে যারা নিহত হয়েছে তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং আহতদের জন্য দোয়া আল্লাহ্ যেন তাদের দ্রুত সুস্থতা দান করেন। এই বিপদের দিনে আল্লাহ যেন আমাদের আর কোন বিপদের সম্মুখীন না করেন, আমিন।’
বুলবুল আহমেদ বকুল লিখেন, ‘আরও একটি ট্রাজেডি! শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহত সকলের সুস্থতা কামনা করছি।’
কাওসার আহমেদ লিখেন, ‘বেদনাদায়ক ঘটনা। আল্লাহ নিহতদের জান্নাত নছিব করুন। আহতদের রহমত সরূপ সুস্থতা দান করুন। আর সবাই ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দীন আমিন ।’
আমিনা বেগম লিখেন, ‘বিস্ফোরণের ভয়াবহতা সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। যদিও আমি বিশেষজ্ঞ নই। তবুও মনে হচ্ছে গ্যাস থেকে এতবড় বিস্ফোরণ হলে আগুন লেগে যেতো পুরো ভবনে। আগুন লাগলো না জাস্ট অনেক দুর চলে গেলো। অনেকটা মিশাইল হামলায় সিরিয়ার ভবনগুলোর মত।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন