দেশের পূর্বাঞ্চলীয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের বায়েক ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম ভারতের ত্রিপুরার পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের অন্তত ৯টি গ্রাম। আষাঢ়ে ঢলে শতশত পুকুর ডুবে পানিতে তলিয়ে গেলে লাখ লাখ টাকার মাছ স্রোতে ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো হলো- খাদলা, মাদলা, শ্যামপুর, পুটিয়া, বেলতলি, অস্টজংগল, সস্তাপুর, সাগরতলা ও গৌরাঙ্গলা ও আশপাশের কিছু এলাকা।
পাহাড়ী ঢলে পানির প্রবাহিত স্রোতে প্রায় ৪০ সহস্রাধিক মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। প্রতিবেশী ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যের পাহাড়ী ঢলে ইতোমধ্যে সালদা নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত দুইদিনের পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৫ হেক্টর বীজতলা।
উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা এলাকা থেকে সালদানদীর উৎপত্তি। গত দুইদিনের প্রবল বর্ষন ও ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ী ঢলের পানিতে কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সালদানদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শুক্রবার সালদা নদীর পানি ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বায়েক ইউনিয়নের সালদানদী- খাদলা বেলতলী সড়ক, হরিপুর বাজার থেকে পেট্রোবাংলা সড়ক, শেরেবাংলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কোল্লাপাথর সড়ক, শ্যামপুর সড়ক, কৈখলার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে বড় বায়েক, হরিপুর, বিদ্যানগর, নিশ্চিন্তপুর, গৌরাঙ্গলা, শ্যামপুর, পুটিয়া ও খাদলাসহ প্রায় ১০ গ্রামের সাধারণ লোকজন। অতিরিক্ত পানির কারনে পাঁচ হেক্টর রোপা আমানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় ও জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থের তালিকা তৈরী করার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন