বাবার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মায়ের কাছেই ছিল ১০ বছর বয়সী কন্যা শিশুটি। এদিকে, সন্তানকে নিজ হেফাজতে নিয়ে পারিবারিক আদালতে মামলা করেন শিশুটির বাবা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই মামলায় গত ৩০ জুন আদেশ দেন পারিবারিক আদালত।
ওই আদেশে বলা হয়, শিশুটি বাবার হেফাজতে থাকবে ২১ দিন। এসময়ে কেবলমাত্র শুক্র ও শনিবার শিশুটি মায়ের হেফাজতে থাকবে। এছাড়া শিশুটির অনলাইনে স্কুলের ব্যবস্থা করে দিতে বাবাকে আদেশ দেওয়া হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে সন্তানকে নিজ হেফাজতে রাখতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন শিশুটির মা।
গতকাল রোববার ওই মায়ের আবেদনটি শুনানির জন্য হাইকোর্টে ওঠে। এর আগে গত শনিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে হাইকোর্টে করা হয় আবেদনটি।
এদিকে, শুনানি নিয়ে পারিবারিক আদালতের গত ৩০ জুন দেওয়া আদেশ ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ। আইনজীবী এ কে এম ফখরুল ইসলাম শিশুটির মায়ের পক্ষে শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ রানা। আর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন।
শিশুটির মায়ের পক্ষের আইনজীবী ফখরুল ইসলাম জানান, ওই শিশুটি তার মায়ের কাছে ছিল ও আছে। হাইকোর্টের আদেশের ফলে তার মায়ের কাছেই থাকবে শিশুটি।
আইনজীবীর তথ্য মতে, ২০০৭ সালে বিয়ে হয় ওই মামলার বাদী ও বিবাদীর। তাদের কন্যাসন্তানের জন্ম হয় ২০১১ সালে। সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরে ২০১৮ সাল থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন উভয়েই। সবশেষ বিয়েবিচ্ছেদ হয় ২০১৯ সালের ১২ মে। তখন থেকেই মায়ের কাছে থাকছে শিশুটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন