শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

যুক্তরাজ্যের রিপোর্টে খালেদা জিয়ার অবস্থা নিয়ে দেয়া তথ্য বানোয়াট

সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার রিপোর্টে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা নিয়ে বানোয়াট তথ্য দেওয়াকে আপত্তিকর হিসেবে বর্ণনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করে আপত্তি জানানোর বিষয় তুলে তিনি বলেন, কোনো দেশ সম্পর্কে ভুল তথ্য পরিবেশন গ্রহণযোগ্য নয়। গতকাল সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এ সময় আগামী ডিসেম্বরে থেকে দুই দিনব্যাপী শান্তি সম্মেলন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।

যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়, দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিনি কারাভোগ করে আসছিলেন। তার ভাইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেগম জিয়ার বয়স এবং অসুস্থতা বিবেচনা করে গত বছরের মার্চে তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। এর আগে গত রোববার বিএনপি চেয়ারপারসনকে গৃহবন্দি উল্লেখ করে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র রিপোর্ট প্রকাশ করায় আপত্তি জানিয়ে দেশটির হাইকমিশনারকে তলব করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন দফতর ২০২০ সালের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমান সম্পর্কে তাকে হাউজ অ্যারেস্ট বা গৃহবন্দি হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

এছাড়া রোহিঙ্গাসহ বেশকিছু ইস্যুতে বাংলাদেশ সর্ম্পকে আপত্তিকর ও মিথ্যা তথ্য থাকায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জাভেদ পাটেলকে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে আনা হয়। এ সময় তিনি পশ্চিম ইউরোপ ও ইউ›র পরিচালক বাংলাদেশের আপত্তির বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

এ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে দেশটির ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিষয়ক মহাপরিচালক। এ সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিএনপি চেয়ারপারসনের ভাইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাজাপ্রাপ্ত বেগম খালেদা জিয়ার শাস্তি ২০২০ সালের মার্চ মাসে স্থগিত করা হয়।

এ সময় শর্ত দেওয়া হয় তিনি দেশে চিকিৎসা নেবেন এবং দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। পরবর্তীতে ২ দফা এ স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সুনির্দিষ্ট আইনের ভিত্তিতে সরকার এটি করেছে। এক্ষেত্রে গৃহবন্দি শব্দটি স্পষ্টই ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। আইনগত কোনো বিষয়ে সংশয় থাকলে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ব্রিটিশ সরকারকে রিপোর্ট করার ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

এ সময় বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য লিখে নেন ব্রিটিশ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার। তিনি আশ্বাস দেন তার দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি তিনি অবহিত করবেন। একইসঙ্গে তিনি নিশ্চিত করেন, বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে তার দেশের পক্ষপাত নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন