আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, প্রত্যেকটি ধর্মে বলা হয়েছে মৃত্যুর পরে কেউ কোনো সম্পত্তি পরকালে নিয়ে যেতে পারবে না। সেই কথা স্মরণ রেখে মহামারী করোনার এই দুর্যোগে দল-মত নির্বিশেষে সমাজের সকল উচ্চবিত্তদের উচিত খেটে খাওয়া ও অসচ্ছল মানুষের সহযোগিতা করা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় ১৪ নম্বর সেক্টর খেলার মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঈদ উপহার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। ঢাকা-১৮ আসনের এমপি ও ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসানের ব্যক্তিগত সহায়তায় এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সকল দুর্যোগ সফলভাবে মোকাবেলা হচ্ছে । প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, এদেশের কেউ না খেয়ে থাকবে না। সেই লক্ষ্যে মহামারী করোনাভাইরাস এর এই দুর্যোগেও মাননীয় নেত্রী নির্দেশে আমাদের দলের সকল নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে কাজ করছে। তবে এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি সমাজের উচ্চবিত্তদের জনকল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে।
সকলের সচেতনতার মাধ্যমেই করোনাকে জয় করা যাবে আশা প্রকাশ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিশ্বের উন্নত অনেকগুলো দেশ করোনার প্রকোপ এ হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও আন্তরিক দক্ষতায় জনগণের সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থে স্বল্প সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত টিকা ব্যবহার করতে পেরেছে। লকডাউন চলাকালীন সময়ে খেটে খাওয়া ও অসচ্ছল মানুষের ঘরে ঘরে নগদ অর্থ খাদ্য এবং ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে ছিল, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
জনগণের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানিয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী নানক বলেন, জীবন এবং জীবিকার সমন্বয় রাখার জন্য সরকার চলমান বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। আমাদের সকলকেই নিয়ম মেনে টিকা গ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় এক হাজার পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার ও ত্রাণ বিতরণ করা হয়। সময় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড-থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন