শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

বঙ্গবন্ধুর হত্যার বদলা নিতে হলে তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হবে- নানক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২১, ৭:৪৫ পিএম

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বদলা নিতে হলে তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের নতুন করে শপথ নিতে হবে। নতুন প্রত্যয়ে বলীয়ান হয়ে শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিতে পারলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস স্মরণে সংগঠনটি এই আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে।

নানক বলেন, মৃত্যুশয্যায় বঙ্গবন্ধুর তর্জনী যে নতুন সূর্যোদয়ের ইশারা দিয়ে গিয়েছিল কাল থেকে কালান্তরে এসে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের স্টিমারে করে সম্মুখ পানে সওয়ার করে চলেছেন। তিনি আগস্ট বেদনার মহাকাব্যের শোককে চিরধার্য শক্তিতে রূপায়িত করেছেন বলেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে নিজের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে।

১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ নির্মমভাবে নিহত সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি বলেন, আজ গভীর দুর্যোগের অভিজ্ঞতা যখন নতুন করে বিশ্বজুড়ে রাষ্ট্রগুলোকে আরো বেশি দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমাদের সকলকে মনে করতে হবে। বাকশালকে বুঝতে হবে? বুঝতে হবে কেন বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন? আর কেনইবা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার প্রণোদনা এসেছিল আর কাদের মদদেই বা এসেছিল?

পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ডে ঘাতকচক্র একই রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাঁর পরিবারের ১৬ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করার মধ্য দিয়ে বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিপরীত দিকে প্রবাহিত করার কাজ শুরু করে বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনাকে কারবালা প্রান্তরে ইমাম হোসেনসহ তার পরিবারের মর্মান্তিক হত্যাকান্ড এবং পলাশীর প্রান্তরে যুদ্ধের পরাজয়ের পর বিশ্বাসঘাতক মীরজাফর চক্রের হাতে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরিবারের হত্যাকান্ডের সঙ্গে তুলনা করেন। এবিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর এই সদস্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার সকল দুরভিসন্ধির সাথে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ও পাকিস্তানের চক্র এবং এদেশীয় দালালদের গোপন আঁতাতের কথা আজ দেশের মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। আজ মানুষ বুঝতে পেরেছে বঙ্গবন্ধু হত্যার উদ্দেশ্যে ছিল বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে বাংলাদেশের নাম চিরতরে মুছে ফেলবে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে।

কিন্তু তাদের এই বিশ্বাসঘাতকতা-উচ্চাবিলাসী ধ্যান-ধারণা বাস্তব রূপ লাভ করেনি। সূর্য অস্তমিত হলে তারপর জোনাকিরা জ্বলে। কিন্তু জোনাকিরা কখনোই সূর্যের বিকল্প হতে পারে না। তাই যতই দিন যাচ্ছে এ সত্য স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে বলে মনে করেন সাবেক এই স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী।

শেখ রাসেলের প্রসঙ্গ তুলে ধরে নানক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এমন একটি সময়ে বাংলার মাটিতে এসেছিলেন যখন বাংলার আকাশ পরাধীনতার বিশকাপে বিষবাষ্পে অনাবৃত অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। এমনি একটি রাতে বাংলার আকাশে আলোর পাখি ও অন্ধকারের প্রবল প্রতিপক্ষ হয়ে এসেছিলেন শেখ রাসেল।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আগস্টের আগে তার প্রিয় হাসু আপার (শেখ হাসিনা) সাথে জার্মানি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জন্ডিসে আক্রান্ত হবার কারণে তিনি তার আস আপার সাথে যেতে পারেননি। সেদিন যদি তিনি জার্মানি যেতে পারতেন তাহলে হয়তো বাংলার অদম্য আলোর পাখিকে ঘাতকের বুলেটে ভূপাতিত করতে পারত না। শেখ রাসেল ছিলেন অপ্রতিরোধ্য বাংলার অমৃত সূর্যোদয়ের প্রবল সম্ভাবনার প্রতীক।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রকিবুর রহমানের ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আইন সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরুসহ সংগঠনের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন