বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, হার্ট, কিডনি ও আর্থ্রাইটিজে আক্রান্ত। এখন তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন, যা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। তিনি বলেন, এখনও আমরা ম্যাডামের টিকা নেওয়ার এসএমএস পাইনি। আশা করি, আগামী রোববার বা সোমবারের মধ্যে ম্যাডাম টিকা নিতে পারবেন।
ডা. জাহিদ বলেন, তিনি বাসাতে থেকেই টিকা নেবেন না কি, নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেবেন, সেটি নির্ভর করছে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার টিকার নিবন্ধনের কেন্দ্র নির্বাচন করা হয়েছে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। কিন্তু তিনি হাসপাতালে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন কি না, না কি তাকে বাসাতেই টিকা নিতে হবে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। কারণ, শর্ত সাপেক্ষে মুক্ত খালেদা জিয়ার বাড়ির বাইরে যাওয়া নির্ভর করছে সরকারের ইচ্ছা বা অনুমতি অনুযায়ী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপিপন্থি একজন চিকিৎসক নেতা বলেন, আপনারা আগেই দেখেছেন, ম্যাডাম যখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলো, তখন তার গাড়ি বহরের আগে-পিছে পুলিশ ছিল। এখনও সরকার যদি মনে করে তাকে হাসপাতালে গিয়ে টিকা নিতে হবে, তাহলে সেই ব্যবস্থা করবে। আর তারা যদি মনে করে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এসে টিকা দিয়ে যাবে, তাহলে সেটাই হবে। আমাদের কাজ নিবন্ধন করা, সেটা করেছি। এখন কিভাবে সরকার তাকে টিকা দিবে সেটা তাদের ওপর নির্ভর করছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন নেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ৫৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে যে অবস্থায় বাসায় ফিরেছেন, এখনও সেই অবস্থাতেই আছেন খালেদা জিয়া।
চিকিৎসকরা বলছেন, ১৯ জুন রাতে হাসপাতালে থেকে যে শারীরিক অবস্থায় তাকে বাসায় আনা হয়েছে বর্তমানেও তিনি সেরকমই আছেন। তার শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। এখন তিনি ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন। আর হার্ট, কিডনি, লিভারের অবস্থা আগে যেমন ছিল, এখনও সেই অবস্থায় আছে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার। এরপর প্রথমে পুরান ঢাকার বিশেষ কারাগার ও পরে কারাবন্দি অবস্থায় বিএসএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এরপর দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে গত বছরে ২৫ মার্চ পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার তার সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে। এরপর দুই দফায় তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের অবস্থা আগের মতই আছে। হাসপাতালে আনার পর যেমন ছিলো, এখন তেমনি আছেন। সার্বিক দিক বিবেচনা করলে তার অবস্থা ভালো নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন