মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠিছে ইয়াবা পাচার। ইয়াবা চোরাচালানীদের সাথে আবারো ঘটছে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা। গত দুইদিনে র্যাব-বিজিবির সাথে উখিয়া-টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে দুই ইয়াবা কারবারী। এসময় উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, দুইটি বন্দুক ও গুলি।
আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে চোরাকারবারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠিছে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ছোট খাট ইয়াবার চালান আাইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও বিভিন্ন পন্থায় দেশের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে ইয়াবার বড় বড় চালান। সড়ক ও নৌপথ বলতে কোন কথা নেই সব জায়গা থেকেই উদ্ধার হচ্ছে লাখ লাখ ইয়াবা। এর উপর যুক্ত হয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সীমান্ত কেন্দ্রীক চোরাচালান চক্র।
এদিকে টেকনাফে র্যাবের সাথে নতুন করে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে এক রোহিঙ্গা ডাকাত। এঘটনায় র্যাবের ২ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এসময় ৫০ হাজার ইয়াবা, একটি বন্দুক ও গুলি উদ্ধার হয়েছ বলে জানিয়েছেন র্যাব। ১৬ জুলাই ভোররাতে টেকনাফ উপজেলাস্থ জাদিমুরা ২৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ওই ব্যক্তি হৃীলা জাদিমুরা ২৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি বøকের বশির আহমদের পুত্র শীর্ষ ডাকাত হাশেম উল্লাহ বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, হাশেম উল্লাহর নেতৃত্বে ক্যাম্প এবং ক্যাম্পের আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত ডাকাতদের সমন্বয়ে অপহরণ, মুক্তিপণ বাণিজ্য, ডাকাতিসহ ইয়াবা পাচার ও লুটপাটের ঘটনা ছিল নিত্যদিনের। এর আগে ১৫ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের উখিয়া পালংখালী বিওপর সদস্যদের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় মো. লুৎফর রহমান মানিক প্রঃ লুতুইয়া নামের এক কারবারী। এসময় বিজিবি উদ্ধার করে এক কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকার ৫০ হাজার ইয়াবা ও একটি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক।
এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গত এক মাসে র্যাব, বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও পুলিশের অভিযানে কম করে হলেও পাঁচ শত কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কত শত কোটি টাকার ইয়াবা দেশের ভেতরে পাচার হয়ে গেছে তার কোন হিসেব নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কিছু চুনোপুঁটি ধরা পড়লেও বরাবরই অধরা থেকে যাচ্ছে রাঘব বোয়ালরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন