লিপি আক্তার। বয়স ২৬। মানসিক প্রতিবন্ধী। পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে যান কবিরাজের কাছে। কবিরাজ বলেন লিপিকে সুস্থ করতে দিনে দুইবার পানিতে ১০১ টা ডুব দিতে হবে। কবিরাজের কথায় লিপিকে পানিতে চুবানো হয়। মারা যায় সে। নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৯ দুপুরে) নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সদর থানার আলীরটেক ইউনিয়নের কুড়েরপাড় এলাকায়। এরপর বিকেলে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।এ ঘটনায় পুলিশ নিহত লিপির সৎ বাবা আজহার মিয়া ও ভাই আল আমিনকে আটক করেছে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) শাহ জামান জানান, লিপি আক্তার মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। তাকে সুস্থ করার জন্য কবিরাজের কাছে নিয়ে যায় তার সৎ বাবা ও আপন ভাই। ওই সময় কবিরাজ লিপি আক্তারকে দিনে দুবার (সকাল ও বিকেল) ১০১ বার পানিতে ডুব দেয়ার জন্য বলেন। এভাবে পানিতে ডুব দিলে লিপি সুস্থ হয়ে উঠবে। তাই কবিরাজের কথায় কয়েকদিন ধরে পানিতে চুবান সৎ বাবা ও ভাই। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুরে লিপি নিজে যেতে না চাইলে তাকে জোর করে পানিতে নিয়ে চুবাতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে লিপি পানিতে মারা যান।
ওসি বলেন, ‘ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে বাবা ও ছেলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লিপির মরদেহ উদ্ধার করে। পরে অভিযান চালিয়ে ওই এলাকা থেকে বাবা ও ছেলেকে আটক করা হয়। আর নির্দেশ দাতা কবিরাজকেও আটকে অভিযান অব্যাহত আছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের পর লিপির মৃত্যুর কারণ বলা যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন