করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের দেয়া ‘সবচেয়ে কঠোর লকডাউনের’ মধ্যে সরকার একদিনের জন্য গণপরিবহণ চলাচলের অনুমতি দিলেও যাত্রীর চাপ নেই সিলেটে। সেজন্য দূরপাল্লায় চলাচলকারী বিভিন্ন কোম্পানির বেশিরভাগ বাসেই সিলেট থেকে ছেড়ে যায়নি। আর সিলেট থেকে যেসব বাস ছেড়ে গেছে, এসবে সিটের তুলনায় যাত্রী ছিল কম। সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস-চেয়ার কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আবুল হাছনাত আবুল বলেন, গাড়ি কম যাচ্ছে যাত্রীদের সংখ্যা খুবই কম। হয়তো করোনা ভীতিতে ঘর থেকে বের হতে রাজি হচ্ছে না মানুষ। জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে একদিনে জন্য বাস চালু করার অনমুতি দিলেও সিলেটে যাত্রী নেই। সেজন্য বেশিরভাগ কোম্পানির বাসই সিলেট থেকে ছেড়ে যায়নি।
তিনি আরও বলেন, মূলত রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের কাজে যোগদানের সুবিধার্থে সব ধরনের গণপরিবহন চালু করেছিল সরকার। তবে সিলেট জেলার মানুষ এসব কাজে জড়িত কম। সেকারনেই মুলত যাত্রীদের সংখ্যা কম সিলেটে। এর আগে রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের কাজে যোগদানের সুবিধার্থে ১ আগস্ট দুপুর ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ ও বাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস চলাচল শুরু হয়। তবে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাস চললেও এরপরই চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই থেকে লকডাউন শুরু হয়। যা চলমান থাকবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। ওই সময় পর্যন্ত সব কারখানাগুলো বন্ধ থাকার কথা ছিল। তবে ঈদের পর থেকেই কারখানা খোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিল্প-কারখানার মালিকরা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন