শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নওগাঁর সাপাহারে কবিরাজের ভুল চিকিৎসায় হাত হারাতে বসেছে শিশু

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০২১, ৭:১৮ পিএম

নওগাঁর সাপাহারে কবিরাজের ভুল চিকিৎসায় আল আমিন (৭) নামে এক শিশুর ডান হাত হারাতে বসেছে। শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকগণ।

ভুক্তভোগী শিশুর অভিবাকগণ গত শুক্রবার (৩০ জুলাই) উপজেলার হাঁপানিয়া বিরামপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আল আমিন খেলা করার জন্য বাড়ীর পাশে ছোট একটি আমগাছে ওঠে। পরে হঠাৎ গাছ থেকে পড়ে তার ডান হাতের বাহুতে আঘাত লাগে। তারা জানতে পারেন যে, ছেলের হাত ভেঙ্গে গেছে। এসময় তাদের আত্মীয় উপজেলার আন্ধারদিঘী গ্রামের হাবিবুরে ছেলে আব্দুল আলীমের পরামর্শে ধামইরহাট উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের জৈনক জমশেদ কবিরাজের নিকট নিয়ে যান। ওই কবিরাজ জমশেদ আলী বাচ্চার হাতে বাঁশের চাটাই বেঁধে দেয়।

পরবর্তী সময়ে হাতের বাহুতে ফোস্কা পড়লে বাচ্চার বাবা মা আবার ওই কতিথ কবিরাজের সাথে যোগযোগ করেন কবিরাজ ওই রোগীর ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেয়। এমতাবস্থায় রবিবারে (১লা আগষ্ট) দুপুরে ওই শিশুকে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে অবিভাবকগণ। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসকগন হাতের অবস্থা দেখে তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত কথিত কবিরাজ জমশেদ আলীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। ওই শিশুর হাত ভালো হয়ে যাবে বলেও দাবী করেন । এরকম অনেক রোগী তার কাছে সুস্থ্য হয়েছে বলেও তিনি জানান। কবিরাজি বিষয়ে লাইসেন্স বা কোন প্রশিক্ষন আছে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সেগুলো কিছুই নেই বলে তিনি স্বীকার করেন। এবিষয়ে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ও হাড়জোড়,বাতব্যাথা বিশেষজ্ঞ সার্জন মোর্শেদ মঞ্জুর কবির লিটন জানান, শিশুটির হাতের অবস্থা খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে। এমতাবস্থায় আমরা তাঁকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরামর্শ দিচ্ছি। শিশুর হাত রাখবে বা কেটে ফেলবে সে সিদ্ধান্ত মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ নিবেন। এছাড়াও ভুয়া ওই কবিরাজকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির জোর দাবী জানান তিনি।
সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, বর্তমান আধুনিকতার যুগে মানুষের কাছে এমনটা আশা করা যায়না। শিশুর অবিভাবকগন যদি তাৎক্ষণিক কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখাতেন তাহলে খুব সহজেই এটি রিকভারী হওয়া সম্ভব ছিলো। কিন্তু বর্তমানে শিশুর হাতের অবস্থা খুব খারাপ। আমরা শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন