বেগমগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজের ৮ ঘণ্টা পর এক কিশোরের মাথায় গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মো. রাশেদ উপজেলার ৪ নং আলাইয়াপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আলাইয়াপুর গ্রামের শেয়ার বাড়ি তাজুল ইসলামের ছেলে।
গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ আলাইয়াপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হরিবল্লপুর গ্রামের অয়েদ আলী ভূঞা বাড়ির পশ্চিমে বাগান থেকে গুলিবিদ্ধ এ কিশোরের লাশ উদ্ধার করে। নিহতের মা পূর্ণিমা বেগম ও চাচাতো ভাই আনোয়ার জানান, রাশেদ ঢাকাতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। লকডাউনের কারণে কিছু দিন আগে বাড়িতে আসে। গত ৫/৬দিন আগে একদিন রাতে নিহত রাশেদের সাথে একই বাড়ির বেচু মিয়ার ছেলে রুবেলের সাথে বাড়ির সামনের রাস্তায় চোখে টর্চ লাইটের আলো পড়াকে কেন্দ্র করে তার সাথে ঝগড়া বেঁধে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রুবেলের সহযোগীরা রাশেদকে তিন দফায় বেধড়ক মারধর করে। পরে এ ঘটনায় তার পরিবার বেগমগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্তে আসে। পুলিশ তদন্তে আসায় তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
এবার রুবেলের সহযোগী শাকিল, সুজন, আকবর, মারুফ, মঞ্জুসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা রাশেদের চাচা লোকমান হোসেনকে মারধর করে। সন্ত্রাসীরা রাশেদের চাচা লোকমানকে শাসিয়ে বলে থানায় অভিযোগ করেছ আমাদের বিরুদ্ধে? এখন আমাদের মামলা চালানোর খরচের টাকা দাও। এরপর গত শনিবার রাত ১০টা থেকে নিখোঁজ ছিল নিহত রাশেদ। নিহতের পরিবার দাবি করেন, থানায় লিখিত অভিযোগ করায় একই বাড়ির বখাটে রুবেলের অস্ত্রধারীরা রাশেদকে ধরে নিয়ে মাথায় গুলি করে হত্যা করে। বেগমগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
রাশেদকে শনিবার রাতের যে কোন এক সময়ে মাথায় গুলি করে হত্যা করে লাশ একটি বাগানে ফেলে দেয় খুনিরা। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন