শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষাঙ্গন

ক্যাম্পাস অবসরে ‘নুহাশ পল্লী’

প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে ভ্রমণ কতটা আকর্ষণের তা ব্যক্তিমাত্রই বুঝতে পারেন। আর তা যদি ছাত্রজীবনে বন্ধুদের সাথে তাহলে তো আর কথাই নেই। সেমিস্টার ফাইনাল শেষ হলো। এবার পরীক্ষার জটপাকানো তিক্ততা কাটিয়ে উঠতে হবে। কোথাও বেড়িয়ে আসা দরকার। ভাবছিলাম শেষ পরীক্ষার দিন। অহেতুক ভাবনায় ডুবে না থেকে, ভাবনাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করে বন্ধু-বান্ধব সবাইকে ফোন দিলাম। পরদিন পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে সবাই একে একে জড়ো হলাম ‘গাহি সাম্যের গান মুক্তমঞ্চের’ কাছে শুরু হলো আলোচনা কোথায় যাওয়া যায়? অবশেষে খুঁজে পেলাম গন্তব্য। কিছু দূর এগোলেই গ্রাম আর সেই গ্রামের গহিনে মেঠোপথ গিয়ে মিলেছে নুহাশ পল্লীতে। হুমায়ূন আহমেদের সাধের নিবাস। আমরা এসেছি নুহাশ পল্লী।
১৯৯৭ সালে গাজীপুর সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের পিরুজালী গ্রামে আলো-আঁধারের মেঠোপথে শান্তির সন্ধানে ৪০ বিঘা জমির ওপর নিজের মতো করে সাজান একটি গ্রাম। কী নেই সেই গ্রামে! একেবারে যেন হুমায়ূন আহমেদের খেয়ালের খেলাঘর। মাটির দেয়ালে বাঁধা এক মায়াপুরী যেন। গেটের বাইরে থেকেই মনে হয় যেন সবুজের স্বর্গরাজ্য। গেট পেরিয়ে এগোতেই যেন স্বাগত জানাল ‘মায়ের হাত ধরে শিশু দাঁড়িয়ে’ নামের ভাস্কর্যটি। আরেকটু সামনে এগোতেই দেখা মিলল অর্গানিক ফর্মে তৈরি করা ছোট্ট সুইমিং পুল যার নাম ‘খুলি পল্লল’।
তখন সময় দুপুর ১২টা হুমায়ূন আহমেদের শোবার ঘর ‘হোয়াইট হাউসের’ পাশে সবুজ ঘাসের বিশাল চত্বর। মাঠের মাঝখানে লিচু গাছের ওপর ‘ট্রি হাউস’ দেখে চিৎকার দিয়ে দৌড়ে গেল মৌ। টিভি সিনেমায় দেখা দৃশ্য নিজ চোখে দেখার মধ্যে একটা উত্তেজনা কাজ করে। ‘শ্রাবণ মেঘের দিনে’ সিনেমার কয়েকটি দৃশ্যে এ ঘরটি দেখতে পাওয়া যায়।
কখনো গাছের উপরে ‘ট্রি হাউসে’ উঠে সবাই মিলে ছবি তুলেছি, একসাথে ‘ট্রি হাউসের’ ভিতর বসে দলবেঁধে গান করেছি, আবার কখনো কেউ কেউ একা একা হাঁটাহাঁটি করে দেখেছিল নুহাশ পল্লীর সৌন্দর্য। পদ্মপুকুর, জলপরী, দানবীয় দৈত্য, জুরাসিক পার্ক দেখতে দেখতে আমাদের প্রবেশ দীঘি লিলাবতীর দিকে। নুহাশ পল্লীর উত্তর প্রান্তে হুমায়ূন আহমেদ খনন করেন ‘দীঘি ‘লীলাবতী’। দিঘির বুকে বসানো কাঠের সেতু। সেতু দিয়ে ‘দ্বীপ বিলাস’ যাওয়া যায়। দ্বীপ বিলাস, কৃত্রিম দ্বীপ এটি। সবাই মিলে এই দ্বীপে বসে সাথে নিয়ে যাওয়া খাবার আশ মিটিয়ে খেয়েছি আমরা। হাসনাত, মৌ তাদের ফটোসুটের জন্য নিজেদের সাজুগুজোতে ছিল ব্যস্ত। অন্যদিকে অনয়, হিরক, নাঈম, ওয়াহিদ মেতে ছিল মজার আড্ডায় আর ফটোগ্রাফিতে। মজা করেছি এ নিয়ে কিছুক্ষণ। এরপর সবাই মিলে ঘুরে বেড়িয়েছি সন্ধ্যা পর্যন্ত।
মো. ওয়াহিদুল ইসলাম

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন