দীর্ঘ ৮ মাসের সুরের লড়াই আর বিতর্কের অবশেষে অবসান। ঘোষিত হল ‘ইন্ডিয়ান আইডল ১২’-এর বিজেতার নাম। এই সিজনে সেরার সেরা হিসেবে নির্বাচিত হলেন উত্তরাখন্ডের পবনদ্বীপ রাজন। রানার্স আপ হলেন বনগাঁর অরুণিতা ও সাঁইলি কাম্বলে। শুধু সেরার মুকুট নয় পবনদ্বীপ ঝুলি ভর্তি করে নিয়ে গেলেন পঁচিশ লক্ষ টাকাও, সঙ্গে ভক্তদের ভালবাসা। উত্তরাখন্ডের অখ্যাত অঞ্চলের এক গায়কের উত্তরণের সাক্ষী থাকল গোটা ভারত।
রবিবার (১৫ আগস্ট) বেলা ১২টা থেকে রাত বারোটা অবধি অনুষ্ঠিত হয় ইন্ডিয়ান আইডলের গ্র্যান্ড ফিনালে। রিয়ালিটি শো’র ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথমবার। শো’টির পরিচালক নীরজ শর্মা এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, যদি প্যান্ডেমিক না হতো তবে ইন্ডিয়ান আইডলের এই ফাইনালের আয়োজন হতো কোনও স্টেডিয়ামে। তিনি নিশ্চিত একটি টিকিটও পড়ে থাকত না।
করোনাকালে তা সম্ভব হয়নি ঠিকই, কিন্তু শো’র ব্যাপক জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে, দর্শকদের মনোরঞ্জনে ১২ ঘণ্টা ধরে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা নিয়েছিল চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। বেলা বাড়তেই শো’য়ে তখন চাঁদের হাট। গ্রেট খালি থেকে কিয়ারা আডভাণী, সিদ্ধার্থ মালহোত্রা হাজির ছিলেন সকলেই। বিজয়ী কে হবেন তা বোঝা যাচ্ছিল না। টপ সিক্সে যে কয়জন পৌঁছেছিলেন প্রত্যেকেই ছিলেন সেরা। যদিও অরুণিতা ও পবনদ্বীপের উপরেই পাল্লা ভারি ছিল প্রথম থেকেই অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ট্রফি নিয়ে গেলেন উত্তরাখণ্ডের ছেলেটি।
ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে একসঙ্গে জার্নি শুরু করেছিলেন বনগাঁর অরুণিতা কাঞ্জিলাল ও উত্তরাখন্ডের পবনদ্বীপের। দিন যত এগিয়েছে ততই ওই দুজনের মধ্যে গাঢ় হয়েছে সম্পর্ক। গানের রিয়ালিটি শো’য়েও শুরু হয়েছে প্রেমের গুঞ্জন। ইন্ডিয়ান আইডলের ফাইনালের আগে অরুণিতার সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন পবনদ্বীপ। তার কথায়, “অরুণিতা আমার খুব কাছের বন্ধু। এই শো’য়ে আমরা সবাই একসঙ্গে এত সময় কাটিয়েছি যে অবিচ্ছেদ্য হয়ে গিয়েছি প্রত্যেকে। কিন্তু দর্শকের বোঝা উচিত আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের বেশি কিছু নেই। এই মুহূর্তে আমাদের কেরিয়ারের উপর জোর দেওয়ার সময়। বাকি সব কিছু অপেক্ষা করতে পারবে। তবে আমি চাই আমাদের এই সম্পর্ক বুড়ো বয়স পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে…।”
এর আগেও অন্যান্য রিয়ালিটি শো’য়ে অংশ নিয়েছিলেন পবনদ্বীপ। কিন্তু এই শো যেন তাঁকে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। ইনস্টাগ্রামে ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছেন ব্লু টিক। সেখানে ভক্তর সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রতিনিয়ত। পাহাড়ি গান সারা ভারতে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন পাহাড়ি ছেলেটি। তা তিনি করেছেন। পেয়েছেন দর্শকের ভালবাসা। পেয়েছেন পরিচিতিও। এবার পেলেন সেরার সেরা তকমা। বলিউড ইতিমধ্যেই ডেকেছে তাকে। ‘চাঁদের পাহাড়’… আর বেশি দূরে নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন