বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত, চরাঞ্চল প্লাবিত

লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০২১, ৭:১৬ পিএম

উজানের ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বেড়ে বিপদ সীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর এলাকায় শতাধিক পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়ছে। সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। এছাড়া চর অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সোমবার (১৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪ টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপরে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজে রক্ষায় ৪৪ গেট খুলে দেয়া হয়েছে।

হাতীবান্ধা ও আদিতমারী উপজেলায় তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় আমন ধান ও সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। রাস্তা-ঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলের কষ্টে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ। ঘরে পানি ওঠায় রান্না করতে পারছেন না। পরিবার গুলো মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন।

জানা গেছে, জেলার হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে।

এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি ও অব্যাহত ভাঙনে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার উপজেলার চর সিন্দুর্না ও পাটিকাপাড়া এলাকার দুই শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। বসতবাড়ি ও ফসলী জমি হারিয়ে ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে।

মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে দুটি ইউনিয়নের দুই শতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে চর সিন্দুর্নার কমিউনিটি ক্লিনিক ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদ মাদ্রাসা। সিন্দুর্নার ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী চিলমারী গ্রামের শতাধিক বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন,তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ভাঙ্গনে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৭ টি পরিবারের বসতবাড়ি নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ফেলান হচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, পানিবন্দি পরিবার গুলোর তালিকা তৈরি করার জন্য নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকা পেলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোর জন্য সরকারী সহায়তা প্রদান করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Alamgir Alam ১৯ আগস্ট, ২০২১, ৫:৪৭ এএম says : 0
‘গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র - বাংলাদেশ’ বিভিন্নমূখী বাধাঁ প্রতিহত করে - ‘উৎপাদনমূখী অর্থনীতিতে’- স্বীয় রাষ্ট্রের নাগরিকগণের “মৌলিক চাহিদায় স্বনির্ভরতায়” - যখন অনেকাংশে সফলতা অর্জনের দ্বারপ্রান্তে – তদ্-সময়ে, “বিশ্ব মহামারী- করোনা ভাইরাস”, চলমান অগ্রযাত্রায় যথেষ্ট প্রভাব পূর্বক উন্নয়নের গতিকে বাধাগ্রস্থ করেছে। এমতাবস্থায়, চাষাবাদ প্রবন এলাকা সমূহ বন্যা কবলিত হওয়ায়- স্বদেশের নাগরিকগনের মৌলিক চাহিদা “অন্ন” সম্পর্কিয় খাদ্য শস্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি – দেশের (বাংলাদেশ) জনগণ সম্মুখীন/ মুখাপেক্ষী হয়েছেন এবং জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রভাব বিস্তার পরিলক্ষিত। বর্ষা মৌসুমে - উজানের ঢলে সৃষ্টি “বন্যা” এবং শুষ্ক মৌসুমে – উজানে ‘কৃত্রিম বাধ নির্মাণ’ করত, প্রাকৃতিক জলধারায় হস্তক্ষেপ এবং উজানে, প্রাকৃতিক জলধারায় ‘কৃত্রিম বাঁধ নির্মাণ’ করত – ন্যায় বহির্ভূত জলধারা নিয়ন্ত্রণে’, – ভাটিতে অবস্থিত 'গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র - বাংলাদেশ' এর চাষাবাদ প্রবন এলাকা সমূহে, স্বদেশের নাগরিকগনের মৌলিক চাহিদা “অন্ন” সম্পর্কিয় খাদ্য শস্য উৎপাদনে – সমস্যার মুখাপেক্ষী এবং তাতে, জন-জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রভাব হতে মুক্তিতে - প্রতিবেশী রাষ্ট্রের শুভ দৃষ্টি কাম্য।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন