আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, আজকে সারা দেশে দাবি উঠেছে, কারা এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত এ বিষয়টি আজকে পরিস্কার হওয়া প্রয়োজন। তাই একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত।
বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাব আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।
ঝালকাঠি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন দত্তের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে বিদেশের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে তাদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন। এর মাধ্যমেই তারা প্রমান করেছিল, তাদেও সম্পৃক্তরা ও দুর্বলতা। সুতরাং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গে জড়িতদেও আসল চেহারা উন্মোচন করা হোক। কারণ গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে যারা জতিড় ছিল সেই সমস্ত পরাজিত শক্তিকে নিয়ে জিয়াউর রহমান দল গঠন করেছিলেন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের দাতা সদস্য পৌর মেয়র মো. লিয়াকত আলী তালুকদার, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সালাহউদ্দিন আহম্মেদ সালেক, বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক অসীম কুমার সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তরুণ কর্মকার, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু, প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য মনোয়ার হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিল ও জেলা যুবলীগের আহŸায়ক পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির। অন্যদের মধ্যে বক্দব্য দেন প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মানিক রায়। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিহত সকল সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন