আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, উত্তরাধিকারসূত্রে খুনের রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা করছে বিএনপি ও খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হত্যার মাধ্যমে এই দলটিকে নিশ্চিহ্ন করাই ছিলো ভয়াল ২১ আগষ্টের হত্যাকান্ডের মূল লক্ষ্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতেই শেখ হাসিনার জীবননাশের অপচেষ্টা ছিলো ঘাতকচক্রের।
আজ রোববার ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে ১৪ দলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আমির হোসেন আমু বলেন, ৭৫ সালে যে ভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের রাজনৈতিক পুনর্বাসন ও পৃষ্ঠপোষকতা করেছে জিয়াউর রহমান ঠিক একই পন্থায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন খালেদা জিয়া। এতেই প্রমাণিত হয় ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা এবং তাদের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ৭৫’র খুনী চক্র আর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারীরা একই। তারা পাকিস্তানের ভাবধারায় বিশ্বাসী। ধর্ম নিরপেক্ষতার অপব্যাখ্যা দিয়ে এই অপশক্তি সবসময় দেশ-বিরোধী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি একটি ফ্যাসিস্ট দল। তারা হত্যা ও খুনের রাজনীতি বহনকারী দল। এই দেশে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় অলোচনাসভায় অন্যান্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে শিকদার, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের নেতা ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতন্ত্রী পার্টির নেতা ডা. শাহাদাৎ হোসেন, ন্যাপ নেতা ইসমাইল হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন