শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

তদন্ত কমিশন গঠন হলেই বেরিয়ে আসবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সকল সত্য: আমির হোসেন আমু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০২১, ৭:৩০ পিএম

ফাইল ছবি


আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন দেশি- বিদেশি চক্রান্তের শিকার হয়ে জীবন দিতে হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে। এটা কোনো ব্যক্তিগত হত্যাকান্ড নয়, পুরোপুরি রাজনৈতিক হত্যাকান্ড। তদন্ত কমিশন গঠন হলেই অন্তরালে কারা ছিল সব সত্য বেরিয়ে আসবে।

আজ বুধবার সকালে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ১৪ দলের ভারচুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আমির হোমেস আমু বলেন, ৭৫ সালে যেভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের রাজনৈতিক পুনর্বাসন ও পৃষ্ঠপোষকতা করেছে জিয়াউর রহমান, ঠিক একই পন্থায় তার এজেন্ডা বাস্তবায়নে বেগম খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে তার পূর্ণতা দিয়েছেন।

তিনি বলেন আজ যারা খালেদা জিয়াকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে খাটো করতে চায় বুঝতে হবে তারা আসলে জ্ঞানী মানুষের ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের ভাবধারার ধারক -বাহক।

আলোচনাসভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নয় তিনি ছিলেন বিশ্বের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের নেতা। তিনি বিশ্বের যেখানেই যেতেন সেই দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতেন। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথেই এগিয়ে যাবে দেশ।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি ও জামাত হত্যা ও খুনের রাজনীতি বহন করে চলছে। তারা একটি নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এই দেশে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট। আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করা, তাদের রাজনৈতিকভাব পুনর্বাসিত করা এবং বিদেশে পদায়ন করার মধ্য দিয়েই তিনি প্রমাণ করেছেন বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে তিনি জড়িত ছিলেন কিনা?

আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় অলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম , বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের নেতা ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতন্ত্রী পার্টির নেতা ডা. শাহাদাৎ হোসেন, ন্যাপ নেতা ইসমাইল হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন